lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
Last Updated 2023-02-13T10:25:32Z
ব্রেকিং নিউজ

দোয়ারাবাজারে প্রতিহিংসার জেরে রেষ্টুরেন্টে আগুন,কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতি

Advertisement


 

সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে প্রতিহিংসার জেরে একটি রেষ্টুরেন্টে  রাতের আধারে আগুনের লেলিহান শিখায় কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। ঘটনাটি রবিবার দিবাগত রাত সোমবার(১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নাছিমপুর বাজারে সংঘটিত হয়েছে। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।এই ঘটনায় সন্দেহের তীর পাশবর্তি আরেক রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী যুবকের দিকে।অভিযুক্ত যুবক কয়েছ মিয়া (৩৫) ইউনিয়নের বিরেন্দ্রনগর গ্রামের আলমাছ আলী'র ছেলে।


জানা যায়,উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নাছিমপুর গ্রামের দেওয়ান আলীর ছেলে আকবর আলী নাছিমপুর বাজারে রেষ্টুরেন্ট দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। তার সামনের দোকানে আরেকটি রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা চালাচ্ছেন কয়েছ মিয়া। আকবর আলী'র রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা অন্য ব্যবসায়ীদের চেয়ে ভালোই চলছিলো।এরই জেরে আকবর আলীকে নিঃস্ব করার চেষ্টায় আরো কয়েক বার তার দোকানঘরে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। তখন বড় দরনের  কোন ক্ষতিকরতে পারেনি। এনিয়ে আকবর আলী'র দোয়ারাবাজার থানায় একাধিকবার লিখিত অভিযোগ ও করেছেন।



দোকান মালিক আকবর আলী জানান,প্রতিদিনের  মত রবিবার রাত সাড়ে ১ টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে নিজ বাড়ীতে চলে যান আকবর আলী। সোমবার ভোর রাতে দোকানের কর্মচারী আলী হোসেন ও তার ছোট ভাই জায়েদ আহমদের কাছে শুনতে পান যে দোকানে আগুন লেগেছে এবং প্রচন্ড ধোয়া বের হচ্ছে সর্বস্থ পুরে ছায়।

  ঘটনার কথা শুনে দোকানি আকবর আলী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুনে লেলিহান শিখা দেখতে পান। পরে  স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে করলেও রক্ষা করা যায়নি কোন মালামাল । অন্যদিকে, আগুনে বিল্ডিং দোকান ঘরে ফাটল ধরেছে।


তিনি আরও জানান,চলতি বছরের ১৯ ও ৩০ জানুয়ারি তার দোকান ঘরে আগুন দেয় রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী কয়েছ মিয়া। তখন বড় দরনের কোন ক্ষতি হয়নি। এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় বিষয়টি নিঃস্পত্তি হয়। 

 

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান যে আগুন লাগার বিষয়টি অভিযুক্ত কয়েছ মিয়া প্রথমে তার ভাই জায়েদ আহমদ ও  কর্মচারী আলী হোসেনকে জানান। পরে তারা আগুন লাগার বিষয়টি মসজিদের মাইকে জানান।


অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা দাবী করে অভিযুক্ত কয়েছ মিয়া জানান,রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী আকবর আলীর সাথে আমার কোন পূর্ব বিরোধ নেই। তার পরেও তিনি সবকিছুতেই আমাকে আসামী করেন। গত কয়েকদিন আগেও তিনি আমার নামে থানায় একটি অভিযোগ করেছিলেন। ওই বিষয়টি মিথ্যা প্রমানিত হয়। আজ আমি ঘুমের ঘরে থাকা অবস্থায় হঠাৎ টিনের শব্দ শুনতে পেরে ঘুম থেকে উঠে দেখি আকবর আলী'র দোকান ঘরে আগুন লেগেছে।পরে বিষয়টি আমি তার ভাই জায়েদ ও কর্মচারী আলী হোসেনকে বলি। 


এদিকে আগুন লাগার বিষয়টি নিয়ে বাজারের  ব্যবসায়ীদের মাঝে নানান ভয় বিরাজ করছে।ব্যবসায়ীরা জানান আকবর আলী'র দোকানে একাধিকবার আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এনিয়ে থানায় মামলা মোকদ্দমা চলছে। আজ পরিকল্পিত ভাবে আকবর আলী'র দোকান ঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি আকবর আলী'র দোকানে প্রতিহিংসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। যার কারনে একিসাথে দোকানের সকল আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে ছায় হয়ে গেছে। তারা এর সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ও বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের নিকট দাবী জানিয়েছেন।


এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর জানান,পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।