Advertisement
হাজী আহিদ:
নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ শাখার কানুনগো জলিলের অর্থ বাণিজ্য এবং যোগসাজসে বর্তমান ঢাকা সিলেট হাইওয়ের টাকা ফেরত যাওয়ার পথে- মর্মে গুরুতরো অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অধিগ্রহণের তিন মাসে থেকে ছয় মাসের ভিতরে ভূমি অধিগ্রহণ করে বিল পরিশোধের কথা থাকলেও কানুনগো জলিল সার্ভেয়ার মুস্তাফিজ মাহাবুব ও মনির,দালাল চক্রের যোগসাজসের কারণে অধিগ্রহণ দেরি হচ্ছে। এর প্রধান কারণ সড়ক ও জনপদের সার্ভেয়ার মাসুদ রানার অর্থ বাণিজ্য এবং বড় বড় কোম্পানির সাথে কানুনগো জলিল, সার্ভেয়ার মাহবুব, মোস্তাফিজ, মনির মাসুদ রানা গং মোটা অংকের চুক্তি করে। তাদের কথা মত টাকা পরিশোধ না করলে ভূমি মালিকদেরকে শুরু করে হয়রানি। সাথে আছেন দালাল রাকিব, ড্রাইভার মামুন, লিটন, পিয়ন সুমন, সাইফুল, তারা এলাকায় দামী দামী গাড়ি নিয়ে পরিদর্শনে যায় এবং নিজেদেরকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ভূমি মালিক দেরকে হয়রানি করে বিল্ডিংকে লিখে দেয় টিনের চালা এবং তারা বেশির ভাগ পরামর্শ দিয়ে শ্রেণী পরিবর্তন করে মোটা অংকের বিল উঠানোর ব্যবস্থা করে দেয় এই সুযোগে তারা হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। বাড়ি কে করে মার্কেট, গর্তকে কে বানায় পুকুর, জঙ্গলকে বানায় বাগান এবং চুক্তিভিত্তিক হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। তাদের চাহিদা মত টাকা না দিলে বিল্ডিং কে করে টিনের চালা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, হেরিটেজ রিসোর্ট-এর জমি অধিগ্রহণ করার সময় কানুন গো জলিলের সাথে হেরিটেজ কোম্পানীর সাথে তার ঘুষ বাণিজ্যের মিল না থাকায় একের পর এক চিঠি দেন এবং হয়রানি করতে থাকেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভূমি মালিক জানান,কানুনগো জলিলের সাথে ১০ লক্ষ টাকা কন্ট্রাক্ট হয়। তিনি ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন বাকি। ৫ লক্ষ টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেদন পরিবর্তন করে দেয়, ভূমি মালিক চাপপ্রয়োগ করলে ৩ লক্ষ টাকা ফেরত দেয়। বেশিরভাগ কানুনগো সার্ভেয়ার পাজারু, রেন্ডক্লোজার, টয়োটা প্রিমো নিউ মডেলের গাড়ি দিয়ে অফিসে যাতায়াত করে এবং জমি অধিগ্রহণ শাখায় পরিদর্শনে গিয়ে নিজেদেরকে ডিসি পরিচয় দেয়। কেউ কেউ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরিচয় দেয় রাজকীয় ভাবে চলাফেরা করে। তাদের রয়েছে ২০-২৫ জন চিহ্নিত দালাল। তাদের মাধ্যমে ৩০% কমিশনে বিল দিয়ে থাকে। এ সকল দালালরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ঈদগাহ মাঠে,ব্রিটিশের চায়ের দোকানের কাছে মসজিদের পাশে সেজেগুজে বসে থাকে এবং ভূমি মালিকদের হুমকি দিয়ে হয়রানি করে। প্রতিদিন তাদেরকে গল্প করতে দেখা যায় চায়ের দোকানে।
অধিগ্রহণ শাখায় দালালি ও ভূমি মালিকদের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দালাল চক্র, কাননুগোও সার্ভেয়ারারা। সম্প্রতি দালাল চক্র মাদ্রাসার দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ডাঙ্গায় এলাকার এক লোকের ৯০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং এক ইটের ভাটার ৯০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে দুদুকে মামলা চলমান। তাদের সাথে কন্ট্রাক হলে মিস কেস থাকলেও বিল দিয়ে দেয় আর এই সকল নৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত কানুনগো আব্দুল জলিল, সার্ভার মোস্তাফিজ, মাহাবুব ও সার্ভেয়ার মনির।অধিক তদন্ত করলে তা বেরিয়ে আসবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভূমি মালিক জানান, আমাদেরকে বিভিন্নভাবে কানুনগো সহ সার্ভেয়ারা হয়রানি করে থাকে। কিন্তু প্রতিবাদ করতে পারতেছি না এই কারণে আমাদেরকে তো তাদের কাছেই যেতে হবে। তাই আমরা স্বশরীরে প্রতিবাদ করতে পারতেছি না।
এল এ শাখার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছু ইমপ্লয়ার পরিবর্তন হয়। বর্তমানে অধিগ্রহণ শাখার কাজ চলছে ধীরগতিতে। একাধিক ভূমি মালিকরা জানিয়েছেন এভাবে কাজ করলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাজেট ফেরত যেতে পারে। আর এর জন্য দায়ী হবেন কানুনগো জলিল, সার্ভেয়ার মাহাবুব, মোস্তাফিজ গং। এ বিষয়ে কাননুগোর বক্তব্য নিতে অফিসে কানুনগো সার্ভেয়ার পাওয়া যায়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও এডিসি র্যাভিনিউ মহোদয় কিছুই জানেন না। দালাল প্রতিপালন করে কানুনগো সার্ভেয়ার অফিসের স্টাফরা।