lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
Last Updated 2023-02-25T07:35:14Z
জেলার সংবাদ

ঝিকরগাছায় ক্ষ্যাপা বাউল কানাই শাহ স্মরনে স্বাধুসঙ্গ, বাউল গান ও ভক্ত মিলনমেলা শুরু রবিবার

Advertisement

 

জহিরুল ইসলাম,যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় শংকরপুর ইউনিয়নে দক্ষিণ বঙ্গের বাউল সম্রাট ক্ষ্যাত, ক্ষ্যাপা বাউল কানাই শাহের ৩৩ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে রবিবার বাউল গান ও ভক্ত মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা ১৩৯৮ সালে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। ১৩ ফাল্গুন প্রতিবছর এই দিনে তাঁর উত্তরসূরী বাউল আব্দুল জব্বর চিসতি ঝিকরগাছার শংকরপুরে কানাই শাহ সরণে সাধুসঙ্গ, বাউল গান ও ভক্ত মিলনমেলা আয়োজন করেন। এ উপলক্ষ্যে কয়েক দিন আগে থেকেই ভক্ত-শিষ্য ও সাধুদের আনাগোনা শুরু হয় অনুষ্ঠানস্থালে।

কানাই শাহের তিরোধান দিবস উপলক্ষে তাঁর ভক্ত- শিষ্য ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে সরগম হয়ে উঠা অনুষ্ঠানে অন্যন্য বছরের ন্যায় এবারও থাকছে বিভিন্ন আয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে সাধুসঙ্গ, আলোচনা সভা ও বাউল গান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন। বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবে সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ নাছিমুল হাবিব শিপার, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ আব্দুল কাদের, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান গোবিন্দ চাটার্জী, বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কামরুজ্জামান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহাসীন আলী মেম্বর ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবেন ফকির ছমির আলী চিশতি। ক্ষ্যাপা বাউল কানাই শাহ ছিলেন লালন সাঁইজির চতুর্থ ধাপের শিষ্য। তাঁর একটি পাণ্ডুলিপিও বাংলা একাডেমিতে জমা আছে। ক্ষ্যাপা বাউল কানাই শাহ বাংলা ১৩০৩ সালের ৩ ভাদ্র কপোতাক্ষ নদের তীরে বাঁকড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেড়ে উঠেন। কিশোরকাল থেকে তিনি বাংলা পুরোনো ঐতিহ্য লোকসংগীতের চর্চা শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি বাউল গান লেখার পাশাপাশি সুরকার ও শিল্পী হিসাবে ক্ষ্যাতি লাভ করেন।

১৯৮৩ সালে ভারতের তাৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কানাই শাহ কলকাতার শান্তি নিকতনে বাউল সংগীত অনুষ্ঠানে স্বরচিত বাউল গান পরিবেশন করেন। সেই অনুষ্ঠানে তিনি ক্ষ্যাপা বাউল উপাধিতে ভূষিত হন। ১৯৭৮ সালে তিনি ফোকলায় চার দিনব্যাপী বাউল মেলায় শ্রেষ্ঠ বাউল শিল্পী নির্বাচিত হন। তিনি জীবদ্দশায় সহস্রাধিক বাউল গান রচনা করেন। পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বাউল গান নিয়ে সময় কাটিয়েছেন। সারা দেশে তাঁর অসংখ্য ভক্ত-শিষ্য রয়েছে। তিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন।