lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
Last Updated 2023-02-12T10:04:52Z
আইন ও অপরাধ

দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে দুই কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংশ করলো বিজিবি

Advertisement

 

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ 

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ২৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে। 

রোববার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।

তিনি বলেন, মাদক ধ্বংস করণের অনুষ্ঠানটি মাদক নিরাময়ে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

কারণ এই মাদকের কারণেই আমাদের আগামীর প্রজন্ম ধ্বংস হচ্ছে। জাতি ধ্বংস হচ্ছে। ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি।

এসময় রংপুর সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল মো. আনোয়ার লতিফ খান বিপিএম (বার) পিএসসি, দিনাজপুর সেক্টর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার লে. রাশেদ আজগর, দিনাজপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহ নেওয়াজ, উপ-কমিশনার কাস্টম এক্সাইজ ও ভ্যাটের রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ফুলবাড়ী ২৯ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলমগীর কবির, পিএসসি বলেন, ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মাদক নির্মূলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিশ্চিতকল্পে বদ্ধপরিকর। বিজিবি সদস্যরা অত্যন্ত প্রতিকূল পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদক নির্মূল অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

গত ১ মে ২০২২ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৮ মাসে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি। আটককৃত বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়। ধ্বংসকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে ছিল- ভারতীয় ফেনসিডিল ১৫ হাজার ৮৮ বোতল, এমকেডিল ১ হাজার ২০৩ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট ৩ হাজার ৯২২ পিস, গাঁজা ৬৩ কেজি ২০০ গ্রাম, বিদেশি মদ ১ হাজার ২৭২ বোতল, দেশি মদ ৫৪ দশমিক ২৫ লিটার, বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় ইনজেকশন ২০ হাজার ১৬৪ পিস, যৌন উত্তেজক সিরাপ ৪৫ হাজার ৭৫৩ বোতল, হেরোইন ০.০১৭ কেজি এবং ০.০০২ কেজি আফিম। এগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।

আদালতের অনুমতিক্রমে এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উল্লিখিত জব্দকৃত মাদকদ্রব্যগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে ধ্বংস করা হয়। মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে র‌্যাব সদস্য, থানা পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।