Advertisement
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আবেগে আপ্লুত নিয়াজপ্র ধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে সরকার সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। তারই অংশ হিসেবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে একেকটি বীর নিবাস (পাকা ঘর) নির্মাণ করছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ঐতিহ্যবাহী নড়াইল জেলায় ৩১৬টি বীর নিবাসের বরাদ্ধ হয়েছে।
তার মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭টি ঘর উদ্ভোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
বরাদ্দকৃত বীর নিবাসের একটি ঘর পাচ্ছেন নড়াইল সদর উপজেলার দক্ষিণ বাগডাঙ্গা গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃমোফাজ্জ্বেল হোসেনের পরিবার। ঘর পেয়ে তাদের অনুভুতি কেমন জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোফাজ্জ্বেল হোসেনের ছেলে নিয়াজ আলম আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘরের চালা ফুটো ফাটা ছিল। থাকার কোনো পরিবেশ ছিল না। উপরে আল্লাহ আর নীচে শেখ হাসিনা ছিল বলে এই বাড়িটা পেয়েছি। এতে খুবই খুশি তারা। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদের কোন শেষ নেই।
এ সময় নিয়াজ আরো বলেন, তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। ফিরে আসবেন কি-না জানতেন না। নিজের জীবন বাজি রেখেছিলেন তার বাবা। আর এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উপকার করলেন তা ভুলতে পারবেন না। যদি কখনো প্রয়োজন হয় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দেশের জন্য জীবন দিতে রাজি তিনি।
জেলার আরো কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিববারের সদস্যরা জানান, ঘর না থাকায় অনেক কষ্ট করে বসবাস করতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে পরিজন নিয়ে একদিকে মাথা গোঁজার ঠাই পাবেন অন্যদিকে সুখে-শান্তিতে বসবাসও করতে পারবেন তারা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, বীর নিবাসের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ তা দিয়ে খুব সুন্দরভাবে ডিজাইন অনুযায়ী ঘরগুলো করা যাচ্ছে। জেলায় বীর নিবাসের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিদের্শনায় অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে।