Advertisement
মাহতাবুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হয়েছে আজ থেকে। ঈদের ছুটির প্রথম দিনেই দক্ষিণ বাংলার মানুষ পদ্মা পাড়ি দিতে শুরু করেছেন। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদে ঘরমুখো মোটরসাইকেল আরোহীদের পদ্মা পার করতে শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌ-রুটে সাত দিনের বিকল্প এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় মঙ্গলবার থেকে। প্রায় আট মাস পর এই রুটে দুই ফেরি দিয়ে বিশেষ সার্ভিস চালু করা হয়।
উল্লেখ্য যে বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়েই যাওয়া যাবে মোটারসাইকেল নিয়ে। তবে যাদের যাওয়ার, তারা বুধবার ফেরিতে করেই পদ্মা পার হচ্ছে। তবে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে ঈদে বাড়ি যাবেন তারা ভির করতে শুরু করেছেন শিমুলিয়া ঘাটে, বাইকারদের চাপে ভোর ৬টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে চারবার ট্রিপ দিয়েছে দুটি ফেরি।
১৯ এপ্রিল বুধবার সকাল ৬টায় প্রথম যাত্রায় ফেরি ‘কলমিলতা’ ১৯৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায় দ্বিতীয় ফেরি ‘কুঞ্জলতা’ ২১০টি বাইক নিয়ে ছেড়ে যায় ৬টা ৪০ মিনিটে। এরপর তৃতীয় এবং চতুর্থ ফেরি ছেড়েছে ৮টা ৪০ এবং ৯টা ২০ মিনিটে বলে জানিয়েছেন শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার মোঃ জামাল হোসেন বলেন, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা পরপর ফেরি ছেড়ে যায় ঘাট থেকে। কিন্তু সকালে সেটা সম্ভব হয়নি। প্রথম ফেরি ছাড়ার মিনিট চল্লিশ পরেই দ্বিতীয় ফেরি মোটলসাইকেল আরোহীদের নিয়ে ভরে যায়। দুপুরের দিকে একটু চাপ কমে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন বিকালে আবার চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আরোহীসহ বাইক প্রতি ১৫০ টাকা এবং যাত্রী ভাড়া ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে মঙ্গলবার ৬টি ট্রিপে ৮৬১টি মোটর সাইকেল পার হয়েছে। এতে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ১৫০ টাকা।
শিমুলিয়া ঘাট থেকে মাঝিরকান্দিতে বাইকে পরিপূর্ণ হেরে গেলেও মাঝিরকান্দি খাট থেকে ফেরিগুলো ফিরছে খালি অবস্থায়। বাইকারদের নামিয়ে পুনরায় ফিরে আসতে ফেরির সময় লাগছে প্রায় আড়াই ঘন্টা।