lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩
Last Updated 2023-04-24T12:21:09Z
অপরাধ

ঝালকাঠিতে বিয়ে বাড়িতে কসাইয়ের মরা গরুর মাংস বিক্রি, অর্থের বিনিময়ে মিমাংসা

Advertisement

আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিয়ে বাড়িতে মরা গরুর মাংস বিক্রি করে ধরা খেয়ে অর্থের বিনিময়ে মিমাংসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক সহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে অর্থের বিনিমিয়ে এই ঘটনার মিমাংসা করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৩ এপ্রিল রবিবার ভোরে উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালী মীরের হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় আমেনা বেগম, লাভলু, জব্বার, কাঞ্চন জানায়, ঈদুল ফিতরে বিক্রির জন্য কসাই আল-আমিনের আমদানি করা একটি ফ্রিজিয়ান গরু স্ট্রোক করে মারা যায়। ওই মরা গরুর অর্ধেক মাংস অল্প অল্প করে পুটিয়াখালী মীরের হাট বাজারে বিক্রি করে আল-আমিন। বাকি মাংস শনিবার ভোরে পুটিয়াখালীর আসাদ তালুকদারের ভাগনির বিয়ের অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়। ঐ মাংস রান্না করার জন্য বস্তা থেকে বের করলে পচাঁ গন্ধ বের হতে শুরু করে। বিষয়টি সাথে সাথে বাবুর্চি আসাদ তালুকদারকে জানায়। আসাদ তালুকদার বাজারে গিয়ে জনসম্মূখে কসাইকে জানালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কটাকাটি হয়। তখন মুহুর্তের মধ্যে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটির স্থানীয় সদস্যরা মিলে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি মিমাংসা করে দেয়। এমনকি তাদের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি হয় না। কসাই আল-আমিন ও ভূক্তভোগী আসাদ তালুকদার দুইজনেই ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলামের লোক। এ কারণেই ইউপি সদস্যের এ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সহজ হয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।

কসাই আল-আমিন জানায়, আাগের দিনের মাংস বিক্রয় করতে না পেরে ফ্রিজে রাখি এতে একটু গ্যাস হয়। পরের দিন ভাল মাংসের সাথে মিশিয়ে আসাদ তালুকদারকে দিয়েছিলাম। আসাদ তালুকদার অভিযোগ করলে ঐ মাংস পরিবর্তন করে দেয়া হয়।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. গোলাম ফারুক জানায় আল-আমিন কসাই এর আগেও এরকম কাজ করে যা অর্থের বিনিময় ধামাচাপা দিয়েছে। এই কসাই স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আমিনুল ইসলাম এর লোক হওয়ায় ও বারবার একই কাজ করার সাহস পাচ্ছে। এর একটা বিচার হওয়া দরকার।

মরা গরুর মাংস বাজারে বিক্রয় করায় কসাই বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে কসাইর পক্ষে ছাফাই গেয়ে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন মীরা জানায়, ওটা ফ্রিজের মাংস ছিল। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষরা টাকা-পয়সার বিষয়টি ছড়াচ্ছে। কসাইকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাজারে গরু জবাই করলে বাজারের মসজিদের ইমামের মাধ্যমে গরু জবাই করতে হবে। ফ্রিজে রাখা গরু বিক্রয় করা যাবেনা। আমি ও বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন মিলে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐ পঁচা মাংস কেরোসিন মেখে মাটিতে পুঁতে রেখেছি।