lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৩
Last Updated 2023-04-28T07:31:01Z
অনিয়ম

ঝালকাঠিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দুর্নীতির লাগাম টানতে দুদকে অভিযোগ

Advertisement

আবু সায়েম আকন, ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মো. মামুন-অর-রশিদের দুর্নীতির লাগাম টানতে দুদকে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিনের চোখে পরার মত চলমান বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে এ অভিযোগ দাখিল করেছেন। বুধবার বিকালে এফএফএল ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ নোমানী এ অভিযোগ দাখিল করেন। নোমানী রাজাপুর উপজেলাধীন বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগ থেকে জানাগেছে, মামুন-অর-রশিদ এ উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর থেকে দুর্নীতি, অনিয়ম, উৎকোচ গ্রহন, সরকারী অর্থ আত্মসাৎ, প্রতারনার সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। 

তার করা অনিয়মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় অভিযোগ পত্রে লিপিবদ্ধ করেন এই অভিযোগকারী। যেমন বিশখালী নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের  তালিকায় অর্থের বিনিময়ে বিত্তবানদের নাম অন্তর্ভুক্ত। সাতুরিয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া খালের উপর ২০ফুট দৈর্ঘের একটি কার্লভার্ট নির্মাণে পাথর ও লাল বালু ব্যবহারের কথা ছিল। কিন্তু এই কর্মকর্তা কাজের বিশ শতাংশ ঘুশ গ্রহনের শর্তে ইটের খোয়া ও সাদা বালু দিয়ে কালভার্টি নির্মাণ করার সুযোগ দেয়। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বালু ভরাট, ঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন উপকরণে ঠিকাদারের নাম ব্যবহার করে কাজের দশ ভাগ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। টিআর, কাবিখা,কাবিটা, হতদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি, গ্রামীন রাস্তা, কালভার্ট নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কাজে বরাদ্দের ১২ শতাংশ ঘুষ না পেলে বিল পাশ করেন না তিনি। সম্প্রতি অন্যের নামে উপজেলা পরিষদের পুকুর খনন দেখিয়ে বিশ টন টিআর অত্মসাৎ করেছেন এই কর্মকর্তা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে।

এসবের মাধ্যমেই মামুন-অর-রশিদ অবৈধভাবে সম্পদের পাহার গড়েছেন। যা দিয়ে নামে-বেনামে ঢাকা, বরিশাল ও নিজ এলাকা বানারীপাড়ায় একাধিক ভবন নির্মাণ করেছেন। তার ব্যবহারের জন্য রয়েছে দামি গাড়ি। বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে নগদ টাকা জমা এফডিআর, জমি ক্রয় করেছেন বলে অভিযোগপত্রে  থেকে জানাগেছে। এমনকি জনপ্রতিনিধি, সাধারণ পাবলিক সহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে তিনি খারাপ আচরণ করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থাকলেও তার চালচলন এবং পোষাকে মনেহয় আপাদমস্তক একজন উশৃংখল মানুষ।

উল্লেখ্য গতকাল বিকালে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সকালে লেবার দিয়ে উপজেলা পরিষদের পুকুর খননের কাজ শুরু হয়। 

উল্লেখিত অভিযোগের বিষয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মামুন-অর-রশিদ এর কাছে জানতে তার মুঠো ফোনে বিভিন্ন সময়ে বার বার কল দিলে সে রিসিভ না করে কেটে দেন।