Advertisement
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথায় পা টান করে বসা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৪জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের তেলী সালথা গ্রামে এ সংঘর্ষ বাধে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
আহতরা হলেন, ওই গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ওবায়দুর শেখ (৪০), জিয়া শেখ (৩২), ওবায়দুর শেখের ছেলে নাঈম শেখ (১৮) এবং কুদ্দুস শেখের জামাতা মতিয়ার রহমান (৩৫)।
ওবায়দুরের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫) বলেন, আমার ছেলে নাঈম কয়েক বছর আগে এক্সিডেন্ট করে পায়ে সমস্যা হয় ঠিক বসতে পারে না। গতকাল আমার ছেলে গুচ্ছ গ্রামের রাস্তার পাশে দুই পা টান করে বসে নাঈম মোবাইলে গেইমস খেলতে ছিলো হঠাৎ কুদ্দুস শেখের জামাতা মতিয়ার ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নাঈম কে বলে পা গুছিয়ে বসতে বলে সে চলে যায়। ফিরে আসার পথে আবার পা টান অবস্থায় দেখতে পেয়ে আবারও পা গুছিয়ে বসতে বলে তখন নাঈম মতিয়ার কে বলেন আপনি একটু ঘুরে যান আমার পায়ে সমস্যা এই কথা শোনার সাথে সাথে নাঈম কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এর পর দুইজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির সময় মতিয়ার হাতে টেগগী (ছোট কোদাল) দিয়ে নাঈমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে এবং মাথায় কোপ দেয়। এতে গুরুতর আহত হন নাঈম এখবর মূহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে নাঈমের বাবা ওবায়দুর ও চাচা জিয়া ঘটনা স্থলে গেলে মতিয়ার, সাইফুল, মিটুল, মিলু, কুদ্দুস মিলে আমার স্বামী ও দেবর কে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। এতে ঘটনা স্থলে আহত তারা।
অভিযুক্ত কুদ্দুস শেখের স্ত্রী জোছনা বেগম বলেন, নাঈম ও মতিয়ারের মধ্যে পা টান করে বসা নিয়ে মারামারি ঘটনা ঘটে এসময় মতিয়ারের দাত ভেঙে যায়। এই কথা শুনে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি ওদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। কে বা কারা তাদের কে কুপিয়েছে আমি জানি না।
এ ব্যাপারে সালথা থানার এ এস আই রবিন মজুমদার বলেন, সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাদিকের স্যারের দিকনির্দেশনায় সেকেন্ড অফিসার সৈয়দ আওলাদ হোসেনের নেতৃত্বে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে কয়েকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এখন পর্যন্ত আহতর পরিবার থানায় কোন অভিযোগ / মামলা করেননি। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।