Advertisement
মাহতাবুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন এর পরিচালনায়
২৪ এপ্রিল সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে সই করেন এবং নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ৭৩ বছর বয়সী মোঃ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। ২১তম রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদ, সংসদ সদস্য, দেশী-বিদেশী কূটনীতিক, গণমাধ্যমকর্মী সহ কয়েকশ অতিথি এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। শপথ গ্রহণের সময় নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করেন , প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
পিতা শরফুদ্দিন আনছারী, মাতা খায়রুন্নেসার ঘরে ১৯৪৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় মো. সাহাবুদ্দিন জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম চুপ্পু।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও বিসিএস (বিচার) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
সাহাবুদ্দিন ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা বাকশালের যুগ্ম-সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোঃ সাহাবুদ্দিন দৈনিক বাংলার বাণীতে সাংবাদিকতাও করেছেন।
কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সাহাবুদ্দিন পরপর দুইবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন। চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।
