Advertisement
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সরকারি খাস জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে উপজেলার ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুদের অপপ্রচারের অভিযোগ।
দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলিপুর গ্রামে সরকারি খাস জমি জোরপূর্বক দখলে ব্যর্থ হয়ে। উপজেলা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে সরকারি জমি দখল করার পায়তারায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমদসহ ভূমি অফিসের একাধিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুরা অপপ্রচার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ করেছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ফয়সাল আহমদ।
ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়,দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নে বাজিতপুর মৌজার ১৯৬৯-৭০ সালে (৮৯ রেল নং.এস এস রেকর্ডিয়-১নং খাস খতিয়ান) ২.৫০ শতাংশ জমি(- ৯ একর সরকারি জায়গা হতে)বন্দোবস্ত নেন আলিপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন।পরবর্তীতে মকবুল হোসেন উক্ত জায়গার ১.৩৫ শতাংশ জমি শ্রীমতি বালা দে এর কাছে বিক্রি করেন । পুনরায় শ্রীমতি বালা দে (দলিল মূলে ১৯৮৪ সালে) শিক্ষক সমিতির কাছে বিক্রি করেন ১৬ শতাংশ জমি।শ্রীমতী বালা দে তার ক্রয়কৃত জায়গাতে শিক্ষক সমিতিকে দখল না দেখিয়ে সরকারি স্বার্থ রয়েছে এরকম জমিতে তাদের দখল আছে বলে বিক্রি করেন।প্রকৃতপক্ষে শ্রীমতি বালা দে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে ভোগদখল করার জন্য মকবুল হোসেন থেকে কেনা সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থেকে সরকারি জায়গার দখল বিক্রি করেছেন।
বর্তমানে শিক্ষক সমিতির জায়গার অবস্থান হবে শ্রীমতি বালা দে এর বংশধরগন যেখানে বসতবাড়ি নির্মান করে দখলে রয়েছেন সেই জায়গায়।
আরোও জানা যায়,বাজিতপুর মৌজার ১২৮ দাগে মৃত মকবুল হোসেনকে ২.৫০ শতাংশ জায়গা বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে।যারা মকবুল হোসেন ও তার ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি কিনেছেন ;তারা ২৫/৩০ বছর ধরে ঘর বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন।সরকারী সার্ভেয়ার, তহশিলদার মিলে দখলকৃত জায়গা মাপা হলে দেখা যায় যে সেখানে ২.৮০ শতাংশ জায়গা ইতোমধ্যে ভূমিদস্যুদের দখলে চলে গেছে। এই দাগে একই জমি একাধিকবার কেনা বেচার সত্যতা রয়েছে এবং অনেকের নামজারি বাতিল করা হয়েছে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল আহমদ আরও জানান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি অবশিষ্ট খাস জায়গা দখল নিয়ে সেখানে ঘর স্থাপনা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শিক্ষক সমিতি একাধিকবার ওই সরকারি খাস জমিতে স্থাপনা নির্মানের পরিকল্পনা করলে এতে উপজেলা ভূমি অফিস হতে লিখিতো নোটিশের মাধমে সরকারি জমি দখল করতে বাধা দেওয়া হয়। এরই জেরে অপপ্রচারে মরিয়া হয়ে উঠেছে অসাধু ভূমিদস্যুরা।
অভিযোগের বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমানের মোবাইলে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ মুর্শেদ মিশু জানান, উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দদের বলে দেওয়া হয়েছে উনাদের ক্রয়কৃত জায়গার দলিল পত্র নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য। জমির মালিকের কাছ থেকে দলিল অনুযায়ী তাদের জমি তারা বুঝে নিবে। সরকারি জায়গায় কোন ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ দেওয়া যাবেনা।