lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩
Last Updated 2023-05-02T09:59:02Z
জেলার সংবাদ

ভাঙ্গুড়ায় পরকীয়ার টানে শিশু সন্তান রেখে গৃহবধু উঠলেন নয়া প্রেমিকের বাড়ি !

Advertisement

ভাঙ্গুড়ায় প্রতিনিধি:

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পরকীয়ার টানে ৩ বছরের শিশু সন্তান রেখে এক গৃহবধু জুয়েল রানা নামের এক যুবক তথা তার নয়া প্রেমিকের বাড়িতে উঠেছেন। সোমবার (১ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই গৃহবধু প্রতিবেশী কথিত নয়া প্রেমিক জুয়েল রানার বাড়িতে উঠে বসে আছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে রীতিমত হৈ চৈ শুরু হয়েছে। ভাঙ্গুড়া সদরের কলেজ পড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। জুয়েল রানা ওই এলাকার নুর ইসলাম সওদাগরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে ও ভুক্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া সদরের কলেজ পাড়া এলাকার শাহাদত সওদাগরের ছেলে মেহেদির সাথে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার জনৈক ব্যক্তির কন্যার পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়েছিল ৫/ ৬ বছর আগে। বিবাহের পর সুখেই কাটছিল তাদের সুখের সংসার। এরই মধ্যে তাদের ঘর আলোকিত করে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ওই কন্যা সন্তানের যার বয়স প্রায় তিন বছর। এরই মধ্যে মেহেদীর প্রতিবেশী সম্পর্কের চাচতো ভাই জুয়েলের সাথে ওই গৃহবধুর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন। দীর্ঘ গোপন প্রেমের এক পর্যায়ে তারা দুজনের গোপন অভিসারে প্রেমের পরিনতি দিতে গত রবিবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সে দিন রাতেই ওই গৃহবধু ট্রেন যোগে ঢাকা চলে যান। এদিকে তার স্বামী মেহেদী তার স্ত্রীকে বাড়িতে না পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় বিষয়টি অবগত করেন। এদিকে গৃহবধূর কথিত প্রেমিক জুয়েল রানা তার কথা রাখেন নি এবং ঢাকাতে যান নি। পরে ঢাকায় গিয়ে ওই গৃহবধূ জুয়েল রানাকে না পেয়ে পুনরায় ট্রেন যোগে ভাঙ্গুড়ায় পৌঁছেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ভাঙ্গুড়া সদরের কালেজ পড়ায় অবস্থিত স্বামীর বাড়িতে না গিয়ে প্রতিবেশী কথিত প্রেমিক জুয়েল রানার বাড়িতে উঠেন। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা জড়ো হলে ঘটনার বিষয়টি অদোপান্ত তিনি তাদের নিকট খুলে বলেন। এর পর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সুরাহের জন্য গ্রাম্য প্রধানদের সমন্বয়ে মধ্যরাত অবধি চলে দেন দরবার। পরে ওই জুয়েল রানা সাথেই বিবাহে সিদ্ধান্ত নেন তারা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এ গুলে সামাজিক অবক্ষয় এবং ধর্মীয় অনুশাষন না থাকার ফলে এমন ঘটনা ঘটছে। তাদের মুখে মুখে প্রশ্ন তিন বছরের শিশু সন্তানটির এখন কি হবে?

ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ইমরান হোসেন জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ও প্রধান বর্গের সাথে বসে গৃহবধূর বিষয়টি নিয়ে মধ্যরাত অবধি আলোচনা করে জুয়েল রানার সাথেই বিবাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।