Advertisement
সৈয়দ তারেক মো.আব্দুল্লাহ:
ফরিদপুরের জেলা মৎস্যজীবী লীগের নেতা আছাদুজ্জামান পরশ সিকদারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া দুইটি ছবি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিলো সেই ছবি একটি লাইসেন্স কৃত অস্ত্রের দোকানের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ঘটনাটি ভিত্তিহীন,তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ।
এ ব্যপারে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সদস্য, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শরীফ মো. সেলিমুজ্জামান লিটু তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন পরশ সিকদার আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠনের নেতা,তাঁর যে ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে ওটা একটা অস্ত্রের দোকানের ছবি৷ প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনাদের মাধ্যমে দলের হাই কমান্ডের কাছে আমার প্রশ্ন হলো, যে কেউ একটা ছবি আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা বা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য ফেসবুকে বা গণমাধ্যমে প্রচার করে সেটা সঠিক যাচাই করে, আপনাদের এবং দলীয় হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমার জানা মতে পিস্তল হাতে এই ছবিটা পাঁচ-ছয় বছর পূর্বের। একটি লাইসেন্স কৃত অস্ত্রের দোকান তোলা। এই বিষয়ে সত্যতা যাচাই করে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দলীয় হাই কমান্ডের কাছে অনুরোধ রইল।
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাপ্তাহিক মেধা পত্রিকার সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি আনোয়ার জাহিদ তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ভাইজানের পেছনে রয়েছে বিশাল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকারী!
খালিদ হাসান রনি লিখেছেন রাজনীতিতে সর্বাধিক সস্তায় নোংরামো হয়েছে এটা একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে।
দৈনিক সময়ের কাগজের বোয়ালমারী প্রতিনিধি সৈয়দ তারেক মো.আব্দুল্লাহ্ তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, রাজনীতিতে নোংরামির সীমা থাকা উচিত, পরিকল্পিত ফাঁদে পরশ সিকদার, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক কমিটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করার এখতিয়ার আছে কি?
জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, প্রান্ত সিদ্দিকী লিখেছেন, কর্মশুন্য মামার পাশে অদৃশ্য ছায়া।
ছাদ্দাম হোসেন লিখেছে পরশ ভাই, আমার জানামতে একটা ভালো লোক,সে কোনদিন খারাপ কাজ করে নাই।
মাছুদ মিয়া লিখেছেন আমাদের বোয়ালমারী কিছু খারাপ মস্তিস্কের নেতাদের কারসাজি,এরা দলকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
উপজেলা যুবলীগ নেতা গালিব রহমান লিখেছেন, একটি আহবায়ক কমিটির নেতাকে সেই একি কমিটির আহবায়ক এবং সদস্য সচিব কি অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার রাখে? সৈয়দ খায়রুল ইসলাম লিখেছেন তীব্র নিন্দা জানাই।
দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার বোয়ালমারী প্রতিনিধি জাকির হোসেন লিখেছেন অস্ত্র হাতে ভাইরাল পরশ সিকদার, কার লাভ কার ক্ষতি!
দৈনিক মাতৃভূমি পত্রিকার বোয়ালমারী প্রতিনিধি রাকিবুল রাসেল লিখেছেন, বন্দুকের দোকানের ছবি নিয়ে এতো মাতলামির কি আছে!
এ ছাড়া সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে একটি মিথ্যা ভিত্তিহীন পাঁচ বছর আগের পুরনো ছবি দিয়ে একজন ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক নেতাকে অপমানিত করা হয়েছে বলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমেন্ট বক্সে অনেকেই মন্তব্য করেছেন এটা পুর্বপরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র, আমরা সঠিক রাজনীতিতে ফিরে আসতে চাই এবং যোগ্য নেতাদের প্রাধান্য দিতে চাই। গণমানুষের রাজনীতি ফিরে আসুক সকলের মাঝে।