lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩
Last Updated 2023-06-01T04:56:58Z
দেশজুড়ে

কবি আলমগীর কবীর হৃদয় এর ৪৫তম জন্মদিন আজ

Advertisement

১৯৭৮ জুন ১ থেকে ২০২৩ জুন ১ হিসাবের খাতায় ৪৫ বছর। খুব বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষা এই ৪৫ এর জীবনে ছিলো না, কবি'র বলা যায় আজও নেই। 

সংখ্যা হিসাবের একটা সূত্র যোগ বিয়োগ গড় পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। পৃথিবীতে আসার দিন যতটা সমৃদ্ধ হয়ে ফুলেফেঁপে বেড়ে ওঠে ততটাই ঘনিয়ে আসে জীবনে প্রস্থানের সময়, এটাই জীবন মনে করেন কবি। ৪৫ এ এসে জীবনে তার অপ্রাসঙ্গিক অনেক কিছুরই মুখোমুখি হতে হয়েছে তবে সেটা চলতি জীবনের স্বাভাবিকতা বৈ অন্যকিছু নয়, বলে মনে করেন কবি গীতিকার ও বাচিকশিল্পী আলমগীর কবীর হৃদয় তিনি 

সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজারো কোটি শুকরিয়া আদায় করেন সৃষ্টির সেরা মানুষ রুপে পৃথিবীতে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে। তিনি

শ্রদ্ধা জানান তার জন্মদাতা পিতা ও জন্মদায়িনী মাতার প্রতি তাদের নিবিড় পরিচর্যা ও ভালোবাসায় বেড়ে উঠেছেন পৃথিবীর মতো কঠিন স্থানে।

কোন সন্তান ই তার মা বাবার ঋণ শোধ করতে পারে না, আজন্মকাল ঋণী সেই বাবার জন্য আল্লাহ পাক এর কাছে চাওয়া, আল্লাহ পাক যেন তার বাবা কে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসাবে কবুল করে,এবং তাকে যেমন করে আদর যত্নে বাবা প্রতিপালন করে গেছেন, আল্লাহ পাক  ঠিক তেমন নয় তারও চেয়ে বেশি আদর যত্নে যেন রাখেন।

কবির  জন্মদায়িনী মাকে আল্লাহ পাক যেন দীর্ঘ নেক হায়াত দান করেন ও পরিবারের মাঝে সুস্থ অবস্থায় রাখেন।

হিসাবের খাতায় অন্তর্ভুক্ত জীবন, তাই না চাইলেও হিসাব চলে আসে এই ছোট জীবন খাতায় সহধর্মীনি যুক্ত হয়েছে সুখ দুঃখের সাথী হতে ১৯৯৮ সালে,তখন ছেলেমানুষি দুজনের ই ছিলো তবে পরিনত হতে খুব বেশি সময় নিতে হয়নি দুজনের, সংসার জীবন শুরু সেই থেকে। দুই জনের পথচলাতে এখন পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জনে, দুই ছেলে এক বৌমা কবি ও কবির দুই ছেলের আম্মু। 

ব্যাক্তি জীবনে জীবিকার তাগিদে কখনোবা ব্যাবসা করেছেন, তবে বেশির ভাগ সময় চাকরি করে জীবিকানির্বাহ করেছেন তিনি।পেশার চেয়ে লেখালেখি টা জীবনে অধিকাংশ সময় জুড়ে রয়েছে সে কারণেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে লেখালেখি করে চলেছে ১৯৯৫ ইং সাল থেকে এখন অব্দি। 

ঢাকার বাইরে প্রকাশনা শিল্পকে বিকশিত করতে উত্তরণ প্রকাশনী প্রতিষ্ঠা করে নান্দনিক ভাবে বই প্রকাশনার কাজ করে চলেছেন।

যুব সমাজ বা তরুন প্রজন্ম কে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে এবং সাহিত্য সাংস্কৃতিক জগতে নিজেকে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে শিল্প সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরণ সাহিত্য আসর নামে ২০০৮ সালে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যে সংগঠন টি এখন উত্তরণ পাবনা নামে পরিচিত। এই সংগঠন এর মাধ্যমে নতুন লেখক সৃষ্টি, লেখকের প্রথম মৌলিক গ্রন্থ প্রকাশ, সাংগঠনিক হাতে খড়ি, সংগঠক বা সম্পাদক হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার প্রথম উপলক্ষ হয়েছে অনেকের কবির গড়ে তোলা উত্তরণ সাহিত্য আসর এর মাধ্যমে।  বলাই বাহুল্য রাজধানী কেন্দ্রিক সংগঠন গড়ে ওঠে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে ব্যাতিক্রম এই কবির গড়ে তোলা সংগঠন উত্তরণ পাবনা, যার কেন্দ্রীয় কার্যালয় জেলা শহর পাবনা এবং তার বেশ কয়েকটি শাখা রয়েছে বিভিন্ন জেলায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, নীলফামারী,ময়মনসিংহ, বগুড়া, যশোর, জয়পুরহাট নাটোর এবং পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতা ও পূর্বমেদেনীপুর। 

এখন পর্যন্ত ৭ টি একক গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন মৌলিক লেখক হিসেবে, বাচিকশিল্পী হিসাবে একটি আবৃত্তির সিডি প্রকাশ করেছেন, একক গীতিকার ও সুরকার হিসাবে একটি গানের সিডি প্রকাশ করেছেন এ ছাড়াও মৌলিক গান প্রকাশ হয়েছে গীতিকার হিসাবে প্রায় ৪০ টির মতো, দুইটি গজল প্রকাশ করেছেন তার মধ্যে একটি গজল বেশ জনপ্রিয় "নামাজ পড়োনি তুমি নামাজ পড়োনি"

লেখালেখির পাশাপাশি সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত আছেন তিনি ইংরেজি দৈনিক "ডেইলি ফিনান্সিয়াল পোস্ট" এর পাবনা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে এবং সাপ্তাহিক বাঁশপত্র'র বার্তা সম্পাদক হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি দীর্ঘ বছর দৈনিক বিবৃতি তে সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে সাহিত্য পাতা সম্পাদনা করেছেন।

খুব সাধারণ মানুষ হিসাবে খুব সাধারণ ভাবে ভালোবাসা র বন্ধনে বিশ্বাসী একজন কবি আলমগীর কবীর হৃদয়। 

তার প্রাপ্তির খাতায় সকলের ভালোবাসা যার মূল্য কিছুতেই শোধ করা যায় না... বলে তিনি মনে করেন।

সাহিত্য চর্চা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বহু সাহিত্য সম্মাননা পেয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি ভারতের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মাননা ও লেখক হিসাবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দুশো তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দু'দিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে টেকনিক্যাল সেশন পর্বে স্পিকার হিসাবে উপস্থিত থাকতে পারা।কবি মনে করেন ৪৫ এর যতো প্রাপ্তি সবই ভালোবাসার

ভালোবেসেই রাখবেন মনের মাঝে সবাই সাহিত্য চর্চার মাঝে ফিরে ফিরে আসবেন তিনি পাঠক হৃদয়ে।