lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩
Last Updated 2023-06-02T16:58:29Z
অনিয়ম

শাজাহানপুরে রেজিস্ট্রি দলিল করে দেয়ার পর গ্রহীতাকে বাঁধা দিচ্ছেন দাতা

Advertisement

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় স্বামী আব্দুল হালিম লেবু কর্তৃক স্ত্রী আয়েসা খাতুনকে রেজিস্ট্রি করে  লিখে দেয়া(হেবা দলিল) জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতা। স্ত্রী সেই জমি বিক্রি করলেও দখলে বাঁধা দিচ্ছেন তাঁর স্বামী। মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর কাগজিপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

সরেজমিনে জানাযায়, সাজাপুর কাগজিপাড়া গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিন এর স্ত্রী জোবেদা বেওয়া তাঁর  ছেলে আব্দুল হালিম লেবু(৪০)কে ২টি দাগে মোট ২৫শতক জমি হেবা রেজিস্ট্রি দলিল করে দেন। এরপর আব্দুল হালিম লেবু তাঁর ২য় স্ত্রী আয়েসা খাতুন এর নামে সেই জমি হেবা রেজিস্ট্রি করে দেন। আয়েসা খাতুন সেই জমি নিজ নামে খারিজ করে নেন।

আয়েসা খাতুন এবং আব্দুল হালিম এর মধ্যে বিবাহ ছাড়া ছাড়ি হয়। 

আয়েসা খাতুন সেই জমি স্থানীয় আরিফুর রহমান মিঠু এর নামে অপ্রত্যাহার যোগ্য আম-মোক্তার নামা দলিল রেজিস্ট্রি করেদেন। আম-মোক্তারনামা বলে ওই জমিতে ইট বালু নিয়ে স্থাপনা নির্মান করতে গেলে বাঁধা দেন আব্দুল হালিম লেবু এবং তাঁর সহযোগীরা। পরে আম মোক্তার নামা বলে আরিফুর রহমান মিঠু সেই জমি থেকে ৮শতাংশ জমি নারগীছ আক্তার এর নিকট বিক্রি করেন এবং পরবর্তিতে জহুরুল ইসলাম রিপন এর কাছে ৪শতাংশ জমি বিক্রয় করেন। 

গত রোববার (২৯মে) শাজাহানপুর উপজেলা রেজিস্ট্রি অফিসে জহুরুল ইসলাম রিপনকে ৪শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে গেলে বাধ সাধেন আব্দুল হালিম লেবু এবং তাঁর পরিবারের লোকজন। আব্দুল হালিম লেবু সহ তার ভাবি পারুল এবং অন্যরা সাররেজিস্টারকে ওই জমি দলিল করা থেকে বিরত রাখতে বাধ্য করেন। পরদিন সোমবার (৩০মে) সেই জমি রেজিস্ট্রি করেন সাব রেজিস্টার। 

এসময় আব্দুল হালিম লেবু, তাঁর ভাবি পারুল সহ তাদের সহযোগীরা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এসে জমি দাতা, গ্রহিতা এবং সঙ্গে থাকা লোকজনকে গালা গালি করতে থাকেন। 

আরিফুর রহমান মিঠু জানান, আমমোক্তার দলিল বলে জহুরুল ইসলাম রিপনকে ৪শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার সময় আব্দুল হালিম লেবু সহ তাঁর সহযোগীরা বাঁধা প্রদান করেন। আব্দুল হালিম লেবু এবং সহযোগীরা অন্যায় করছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটাচ্ছেন। লেবু অনেক আগেই তাঁর স্ত্রী আয়েসাকে জমি দলিল করে দিয়েছেন।

আব্দুল হালিম লেবু জানান, সাবেক স্ত্রী আয়েসা খাতুন আমার কাছ থেকে প্রতারণা করে জমি লিখে নিয়েছেন। আমি সেই দলিল বাতিলের মামলা করেছি। তাই দলিল রেজিস্ট্রি করে দিতে বাঁধা দিয়েছি। কোর্ট থেকে এখনো কোন আদেশ পাই নাই।

জহুরুল ইসলাম রিপন জানান, আমি ৪শতক জমি কিনে রেজিস্ট্রি করতে গিয়েছিলাম। দলিলের স্বাক্ষী শাকিল সহ কয়েকজনকে নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলাম। আব্দুল হালিম লেবু, তাঁর ভাবি পারুল সহ তাঁদের সহযোগীরা আগে থেকেই সাবরেজিস্ট্রি অফিসে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং আমাদের গায়ে হাত দেয়ার উপক্রম করেন।