Advertisement
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীতে চাঁদা না দেয়ায় সাকিব গাজী(২২) নামের এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে পটুয়াখালী জেলা সদরের ফটিকের খেয়াঘাট এলাকার সিকদার রেস্ট হাউজের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর ফকিরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত ২ জুন সন্ধ্যায় হোটেল ম্যানেজারকে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিলে দীর্ঘ ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে গতকাল (৭জুন, বুধবার) দিবাগত রাতে মৃত্যু বরন করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই জামাল ফকির গত ৬ জুন সাকিব গাজী ও শাহীন গাজী এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মৃত জাহাঙ্গীর দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের চরগরবদী গ্রামের জয়নাল ফকিরের ছেলে।
এক দিকে তার মৃত্যুতে দুমকি উপজেলার পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এবং তার নিজ বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। অপর দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'জাহাঙ্গীর হত্যার বিচার চাই' নামক মেসেঞ্জার গ্রুপে হত্যা কারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন দুমকি উপজেলার বিভিন্ন স্তরের লোকজন।
মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, আমার ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর একজন ভালো ছেলে ছিল। সে পটুয়াখালীর শিকদার আবাসিক হোটেলে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছিল। আমি প্রশাসনের কাছে তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
মুরাদিয়া ইউনিয়ন আ' লীগের আহবায়ক সৈয়দ ফজলুল হক বলেন, জাহাঙ্গীরের হত্যাকান্ড মধ্যযুগে বর্বরোচিত একটি ঘটনা। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করছি।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে আমাদের একটি টিম কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন সন্ধ্যায় পটুয়াখালী পৌর শহরের ফটিকের খেয়াঘাট এলাকার সিকদার রেস্ট হাউজের দ্বিতীয় তলায় এসে ম্যানেজার জাহাঙ্গীর ফকিরের কাছে চাঁদা দাবি করেন শাকিব গাজী পরে চাঁদা না পেয়ে তার গায়ে পেট্রোল নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ম্যানেজার জাহাঙ্গীরের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তার গায়ে আগুন দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার করা হলে দীর্ঘ পাঁচ দিন পর বুধবার দিবাগত রাতে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।