Advertisement
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেরে গ্রাম পুলিশ বকুল শেখ (৪০)কে হত্যার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মূল আসামিসহ দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছেন লোহাগড়া থানা পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, নিহত বকুল শেখ ও মোসলেম শেখ ওরফে পাগল কটার ছেলে আজমল শেখের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সহ বিভিন্ন কারণ নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে গত রোববার (২৮ মে) রাতে ওই এলাকার মতিয়ারের চায়ের দোকান থেকে বকুল শেখ বাড়ি ফেরার পথে গোলাপ খাঁর মাছের ঘেরের কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওথ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বকুল কে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজনরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত বকুল শেখ কুমড়ি গ্রামের পূর্ব পাড়ার মৃত বদির শেখের ছেলে। তিনি দিঘলিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গ্রাম পুলিশ হত্যার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক নড়াইল জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোসাঃ সাদিরা খাতুন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেপ্তারসহ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারের জন্য জেলা পুলিশের একাধিক টিমকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ ঘটনায় ৩০ মে নিহতের ছেলে রমজান শেখ(২৫) বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা রুজুর পরপরই এজারভুক্ত ২ নং আসামি একই গ্রামের আইনাল শেখের ছেলে রুবেল শেখ(৩৪) কে আটক করে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার (২ জুন) নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারের ১ নং আসামী লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মোসলেম শেখ ওরফে পাগল কটার ছেলে আজমল শেখ ওরফে জাহিদ শেখ(৩২) কে গ্রেফতার করে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১ টি ছোরা জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আজমল শেখ নড়াইল লোহাগড়া ও নড়াগাতি থানার একাধিক চুরি, দস্যুতা ও ডাকাতি মামলার এজাহারের আসামি। আসামি আজমল শেখ ওরফে জাহিদ শেখ(৩২) ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।