Advertisement
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীতে অবৈধ বেহুন্দি জাল দিয়ে মৎস্য সম্পদ নিধনকালে ৩৭জন জেলেসহ লক্ষাধিক টাকার অবৈধ বেহুন্দি জাল জব্দ করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। পরে জেলেদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার(২জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চর ব্যারেট এলাকায় স্থানীয়দের নিয়ে অভিযান চালিয়ে ওই অবৈধ জালসহ জেলেদের আটক করেন চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ মোল্লা। ওই দিন রাতেই আটক জেলে ও জব্দকৃত জাল নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার(৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আটক জেলেদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজিদুর রহমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তেঁতুলিয়া নদীর চরব্যারেট এলাকায় স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের একদল অসাধু জেলেরা অবৈধ বেহুন্দি জাল দিয়ে মৎস্য সম্পাদ ধ্বংস করে আসছিল। শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয়দের নিয়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ১০টি অবৈধ বেহুন্দি জালসহ ৩৭জন জেলেকে আটক করেন। ওই দিন রাতেই জালসহ জেলেদের নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন ইউপি চেয়ারম্যান। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজিদুর রহমান। আদালত জেলেদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানায় মুক্তি দেন। অবৈধ বেহুন্দি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলেন।
এবিষয়ে চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাছ বলেন,‘ চন্দ্রদ্বীপের সীমানায় ভোলার বোরহান উদ্দিনের কিছু জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বেহুন্দি জাল দিয়ে মৎস্য সম্পদ নিধন করে আসছিল। একাধিক বার নিষেধ করার পরেও তারা জাল ফেলা বন্ধ করেনি। পরে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে অবৈধ জালসহ জেলেদের আটক করে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বায়েজিদুর রহমান বলেন, নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে মৎস্য সম্পদ বিনাশ করার দায়ে মৎস্য রক্ষা ও সরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৫ (১) ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে অবৈধজাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।