Advertisement
আলিফ আরিফা গাজীপুর প্রতিনিধি :
কমিউনিটি পুলিশিং এর মুলমন্ত্র, শান্তি-শৃঙ্খলা সর্বত্র-‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার গাজীপুরের শ্রীপুরে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং সমাবেশ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বিপিএম।
মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, চুরি-ডাকাতি, কিশোর গ্যাং, সাইবার ক্রাইম ও জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম ও শ্রীপুর থানা পুলিশ যৌথভাবে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন গ্রীনভিউ এন্ড গল্ফ রিসোর্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপ্স) ও গাজীপুর জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এডভোকেট শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৃষ্ঠপোষক মোঃ তারিকুল ইসলাম, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও থানা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক এ.এফ.এম নাসিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ আলী ফকির, শ্রীপুর থানা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্য সচিব মাসুদ আলম ভাঙ্গী।
কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং সমাবেশ আয়োজন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রীপুর থানার ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মোট ৮১ টি ওয়ার্ডের নবগঠিত কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির প্রায় আড়াই হাজার সদস্য, ১৭ টি বিট পুলিশের সকল সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
সমাবেশে নবগঠিত কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং সদস্যদের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধিসহ সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে শ্রীপুর থানাকে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, চুরি-ডাকাতি, কিশোর গ্যাং, সাইবার ক্রাইম, গুজব ও জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম বিপিএম কমিউনিটি পুলিশিংয়ের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন- পুলিশ জনগণের বন্ধু। জনগণের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা এই বাহিনী প্রস্তুত। পুলিশের সাথে জনগণের শোহার্তপূর্ণ সম্পর্ক শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সবখানেই কিছু উল্টাপাল্টা লোক রয়েছে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাই সবার আগে জনগণকে সচেতন হতে হবে এবং বিট পুলিশিং জরুরি।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যের কেউ অপরাধ করলে সে সাধারণ অপরাধীর মতোই শাস্তি পাবে। পুলিশ বলে ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারন, চোরের সাতদিন, গৃহস্থের একদিন। সুতরাং যে খারাপ কাজ করবে তাকে ধরা পড়তেই হবে। কতিপয় সদস্যের জন্য সকল পুলিশের বদনাম হয়। যদিও এটা তার ব্যক্তিগত অপরাধ। কেননা, পুলিশ বাহিনীতে কোনো খারাপ লোক নেই এবং কোনো কুলাঙ্গারের স্থান নেই। সদস্যের কোনো খারাপ লোকের দায়ভার সমগ্র পুলিশ নিবে না। এমন লোক একদিন না একদিন পুলিশের চাকরি ছেড়ে যেতেই হবে। আগে ধরা পড়লে আগে যাবে,পরে ধরা পড়লে পরে যাবে।
জনগণের উদ্দেশ্য পুলিশ সুপার বলেন- স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু স্মার্ট হতে গিয়ে সাইবার অপরাধে জড়ানো যাবে না। টাচ মোবাইলে টাচ দিয়ে আমরা কি পাঠিয়েছি তা আগে জানতে হবে।