Advertisement
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দুমকীতে কেরোসিনের আগুনে ঝলসে যাওয়া সেই গৃহবধূ হালিমা আক্তার মিমের(২০) মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে তার ৬মাসের শিশু ছেলে ওয়ালিফ ইসলাম জিসান চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার(৯জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।
এদিকে শুক্রবার(৯জুন) দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশার জানান, ঘটনার পর পরই আমি ও বাউফলের সার্কেল এসপি সাহেদ আহম্মেদ চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, ভিক্টিম হাসপাতালে যখন কাতরাচ্ছিল তখন বার বার শ্বশুর বাড়ি এবং শ্বাশুড়ির কথাই বলছিল। তাদের দিকে আমাদের সন্দেহের তীর আছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে তার শ্বাশুড়িকে থানায় আনা হয়েছে। সক্রিয়ভাবে যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিল তাদের ধরার জন্য প্রযুক্তিসহ ম্যানুয়ালি কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অগ্রগতি অনেক দূর এগিয়েছে। ইনশাআল্লাহ অচিরেই আমরা এ ঘটনায় সরাসরি জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। এবিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ, উপজেলার সাতানী গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্স পারিবারিক কলহ এড়াতে গত একসপ্তাহ ধরে নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান দারোগার বাসায় স্ত্রী ও ৬মাসের শিশু ওয়ালিফ ইসলাম জিসানকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন। দুপুরে স্বামী কর্মস্থলে গেলে সেই ফাঁকে কে বা কারা হাত পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই আগুন থেকে রেহাই পায়নি ৬ মাস বয়সের শিশু ওয়ালিফ ইসলাম জিসান।
পরে আহতাবস্থায় ২ জনকেই উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল ৮ জুন দিবাগত রাতে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।