Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদক:
এস. এ রেকর্ড অনুযায়ী কাশিনাথপুর মৌজার ৪৬ খতিয়ানের ৮৭০ ও ৮৭১ নং দাগের ৫১ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন সাধু প্রামাণিক। তার মৃত্যুর পর তার ৩ ছেলে মাধু প্রামাণিক, আব্বাস প্রামাণিক ও লেদু প্রামাণিক। উত্তরাধিকার সূত্রে তারা তিন ভাই জমির ভোগদখল করে আসছিল। তাদের মধ্যে ১৪ই সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে মাধু প্রামাণিক ৬১৯১ নং দলীল মুলে তার ভাগের ১৭ শতাংশ জমি আবুল কাশেমের নিকট বিক্রয় করেন।পরবর্তীতে আবুল কাশেম ২৫শে মে ১৯৮৮ সালে ২৭১১ নং কবলা দলীল মুলে আরশেদ আলীর নিকট বিক্রয় করেন। তখন থেকে উক্ত জমির ক্রেতা আরশেদ আলী ব্যবহার করে আসছিল। আরশেদ আলীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিকানা লাভ করে তার এক ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রী। মালিকানা প্রাপ্ত হয়ে নামিক মালিকগণ স্থানীয় তহশিল অফিসে গেলে জানতে পারে এস.এ ৮৭০ বর্তমানে আর. এস ১৮২৭ ও এস.এ ৮৭১ বর্তমানে আর. এস ১৮২৮ ভূলবসত মৃত লতিফ মুন্সীর তিন ছেলে ইদ্রিস মুন্সি, রহমান মুন্সী ও সিদ্দিক মুন্সীর নামে রেকর্ড অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
যার পরিপ্রেক্ষিত আরশেদ আলীর উত্তরাধিকার গণ পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলা সিনিয়র সহকারী জজ শারমীন চৌধুরীর আদালতে আর. এস রেকর্ড সংশোধনী মামলা ( যার নং-৭১/২০১৫) দায়ের করেন। তথ্য - উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আদালত ১১ই জুলাই ২০২২ তারিখে মামলার রায় প্রদান করে। রায় প্রাপ্ত হয়ে বাদীগন রেকর্ড প্রাপ্তির নিমিত্তে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মনিরুজ্জামান বরাবর একটি মিস কেস দায়ের করেন। যার পরিপ্রেক্ষিত স্থানীয় তহশিলদার ও সার্ভেয়ার এর তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে ৩০শে অক্টোবর ২০২২ তারিখে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মনিরুজ্জামান বাদীগণকে নামজারি পূর্বক খাজনা- খারিজ পরিশোধ করার নির্দেশনা প্রদান করে। নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে ১ লা মে ২০২৩ তারিখে সকল উত্তরাধিকারের পক্ষে জমির খাজনা - খারিজ পরিশোধ করেন মৃত আরশেদ আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। অপরদিকে মামলায় পরাজিত হয়ে রিপন এন্ড গং উল্লেখিত জমির নামজারির জন্য আবেদন করলে সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মনিরুজ্জামান ২২শে জুন ২০২৩ তারিখে আবেদন নামঞ্জুর করেন।
মামলায় পরাজিত হয়ে রিপন এন্ড গং বাদীর বসতবাড়িতে হামলা - ভাঙ্গচুর ও মারধর করার অভিযোগ এনে পাবনা জেলা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত - ৫ এ পিটিশন মামলা দায়ের করেন গোলাম মোস্তফা মাসুদ। পরবর্তীতে মামলা দায়ের করার কারণে নিজের ও পরিবারের উপর বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে ১২ই জুন ২০২৩ তারিখে রিপন গং দের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গোলাম মোস্তফা মাসুদ।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার প্রধান গোলাম মোস্তফা মাসুদ বলেন, নিজেদের জমি রক্ষা করতে গিয়ে আমার পুরো পরিবারের জীবন হুমকির সম্মুখীন। আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট আমার পরিবারের নিরাপত্তা সহ আমাদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
তবে বসতবাড়িতে হামলা- ভাঙ্গচুর ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত পক্ষ। সেই সাথে কোন রকম অনিয়ম ও দখলদারিত্বের সাথে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তারা।