Advertisement
মোঃ মজিবর রহমান শেখ
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিধবা নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় প্রেমিকা সেমেরী রাণী (৪০)’কে চাকুমেরে হত্যার পর নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিক চন্দ্র মহন (৫০)। বৃহস্পতিবার ৬ জুলাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর দিঘিরকোণ গ্রামে এঘটনা ঘটে। নিহত সেমেরী রানী বিশ্রামপুর দিঘিরকোণ গ্রামের মৃত-বিরেন চন্দ্রের স্ত্রী ও চন্দ্র মহন একই গ্রামের মৃত – আলশিয়া বর্মনের ছেলে। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সেমেরী রানীর সঙ্গে একই গ্রামের চন্দ্র মহনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক বেলা সাড়ে বারোটার দিকে ঐ গ্রামের পার্শবর্তী দেবী চৌধুরী নামক পুকুরের পূর্বপাড়ে গ্রামে যাওয়ার রাস্তার পাশে সেমেরী তার দুই ছেলের তিন শিশু সন্তান নিয়ে বসে ছিলেন। নিহত সেমেরী রানীর সঙ্গে থাকা তার ৯ বছর বয়সী নাতনী বৃষ্টি রানী বলে, চন্দ্র মহন সেখানে এসে সেমেরী রানীর সঙ্গে কথা বলেন, এ সময় দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে চন্দ্র মোহন সেমেরী রানীর মুখ চেপে ধরে কোমর থেকে চাকু বের করে তাকে ঐ চাকু দিয়ে হত্যা করে। শিশু মেয়েটি বলে আমার দাদীকে যখন মেরে ফেলে তখন আমি ভয়ে আমার ছোট ভাই দুটিকে নিয়ে সেখান থেকে দূরে চলে যাই। পরে চন্দ্র মোহন ঐ চাকু দিয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এসময় চন্দ্র মহনের ছোট ভাই ধনী রাম (৪৫) এসে চন্দ্র মহনের কাছ থেকে চাকু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। লাশের ১০/১২ ফুট দক্ষিণ পার্শ্বে চন্দ্র মহনকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এঘটনায় পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে এসে চন্দ্র মহনকে উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়, তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার বিষয়ে কোন খবর পাওয়া যায়নি।