Advertisement
মোঃ আরিফুল ইসলাম শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে লটকন চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন ইউপি সদস্য হামিদুল্লাহ। লটকন অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিনারেলস ভিটামিনসমৃদ্ধ জাতীয় একটি ফল। এই ফলের গাছ লাগিয়ে বাম্পার ফলন ফলিয়ে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন হামিদুল্লাহ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ইউপি সদস্য ও ভারুয়া গ্রামের বাসিন্দা হামিদুল্লাহ ২০০৮ সালে নরসিংদী এলাকার তার এক চাচার বাগান থেকে লটকনের ১০০টি চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পাশে নিজের পতিত জমিতে রোপণ করেন। রোপণের ৩ বছর পর থেকে প্রতি গাছে ৪ কেজি থেকে ১৩০ কেজি পর্যন্ত ফল আসে। গাছের বয়স ভাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জৈব সার, ফল আসার পর সামান্য কীটনাশক, রাসায়নিক সার, শুষ্ক মৌসুমে দুই-তিন বার সেচ আর ডালপালা ছেটে দেওয়া ছাড়া বাড়তি আর কোনো ঝামেলা নেই। অল্প খরচে অধিক লাভ পাওয়া যায় এ চাষে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তে উঁচু-নিচু পাহাড়ি ঢালুতে ও বসতবাড়ির আশপাশে পরিত্যক্ত ও ছায়াযুক্ত স্থানে এ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে লটকন বাগানের চাষি ও ইউপি সদস্য মোঃ হামিদুল্লাহ দৈনিক তথ্যধারাকে জানান, এটি একটি লাভজনক আবাদ। ১ একর জমিতে স্বল্প খরচে প্রতি বছর দেড় থেকে ২ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি আরও জানান, কলম কাটা লটকন গাছ থেকে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ফল আসে কিন্তু বীজ থেকে গজানো রোপিত চারা থেকে ফল আসতে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন দিলদার জানান, উপজেলার কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ২০টি লটকন বাগান আছে। লটকন চাষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। লটকন দেশি এবং পুষ্টিকর ফল হওয়ায় কৃষি বিভাগ থেকে লটকন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এ উপজেলায় আগামীতে লটকন চাষ আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।