lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩
Last Updated 2023-08-17T14:07:31Z
জেলার সংবাদ

ঝিনাইগাতীতে লটকন চাষে বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন ইউপি সদস্য হামিদুল্লাহ

Advertisement

মোঃ আরিফুল ইসলাম শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে লটকন চাষ করে বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন ইউপি সদস্য হামিদুল্লাহ। লটকন অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিনারেলস ভিটামিনসমৃদ্ধ জাতীয় একটি ফল। এই ফলের গাছ লাগিয়ে বাম্পার ফলন ফলিয়ে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন হামিদুল্লাহ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ইউপি সদস্য ও ভারুয়া গ্রামের বাসিন্দা হামিদুল্লাহ ২০০৮ সালে নরসিংদী এলাকার তার এক চাচার বাগান থেকে লটকনের ১০০টি চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পাশে নিজের পতিত জমিতে রোপণ করেন। রোপণের ৩ বছর পর থেকে প্রতি গাছে ৪ কেজি থেকে ১৩০ কেজি পর্যন্ত ফল আসে। গাছের বয়স ভাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। জৈব সার, ফল আসার পর সামান্য কীটনাশক, রাসায়নিক সার, শুষ্ক মৌসুমে দুই-তিন বার সেচ আর ডালপালা ছেটে দেওয়া ছাড়া বাড়তি আর কোনো ঝামেলা নেই। অল্প খরচে অধিক লাভ পাওয়া যায় এ চাষে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তে উঁচু-নিচু পাহাড়ি ঢালুতে ও বসতবাড়ির আশপাশে পরিত্যক্ত ও ছায়াযুক্ত স্থানে এ চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে লটকন বাগানের চাষি ও ইউপি সদস্য মোঃ হামিদুল্লাহ দৈনিক তথ্যধারাকে জানান, এটি একটি লাভজনক আবাদ। ১ একর জমিতে স্বল্প খরচে প্রতি বছর দেড় থেকে ২ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি আরও জানান, কলম কাটা লটকন গাছ থেকে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ফল আসে কিন্তু বীজ থেকে গজানো রোপিত চারা থেকে ফল আসতে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন দিলদার জানান, উপজেলার কাংশা ও নলকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ২০টি লটকন বাগান আছে। লটকন চাষের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। লটকন দেশি এবং পুষ্টিকর ফল হওয়ায় কৃষি বিভাগ থেকে লটকন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এ উপজেলায় আগামীতে লটকন চাষ আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।