Advertisement
বিশেষ প্রতিনিধি ::
পুলিশি অভিযানে সপ্তাহ খানেক বন্ধ থাকার পর আবারও জমজাট সিলেট দক্ষিণ সুরমার পুরাতন ফেরিঘাটের শীর্ষ জুয়ারী হারুনের জুয়ার আস্তানা। গোপন সংবাদে ছবি তুলতে গিয়ে সংবাদকর্মী লিজা লাঞ্চিত, ক্যামেরা, মোবাইল স্বর্নের চেইন, ছিনতাইয়ের অভিযোগ। ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে মোবাইল ক্যামেরা উদ্ধার হলেও স্বর্নের চেইন এখনো উদ্ধার হয়নি। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায়। ভূক্তভোগী ঐ সংবাদকর্মী ১৪আগষ্ট সোমবার সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি তার অভিযোগপত্রে বলেন ১২আগষ্ট শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে নগরীর পুরাতন ফেরিঘাটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি সিলেটের শীর্ষ জুয়ারী হারুনের আস্তানায় টিনের বাওয়ান্ডারীর বাহিরে মানুষের জটলা। এগিয়ে গিয়ে কি হয়েছে, বলে লিজা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে জুয়ারী হারুনের পোষা লাটিয়াল সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে গিরে ধরে তার পরিচয় জানতে চায়, এসময় তিনি সংবাদকর্মী পরিচয় দিলে হারুন নামের একজন বলে আমাকে সিলেটের সবাই চিনে। প্রশাসন সাংবাদিক আমার পকেটে থাকে। তুই আমারে চিনিস, আমি তরে সিরিয়েল ধরাইয়া সাংবাদিক হওয়ার শখ মিঠাইয়া দিমু বলে ঝাপটা মেরে মোবাইল, ক্যামেরা, গলার স্বর্নের চেইন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। সে আরো বলে সাংবাদিক আমার নাম শুনলে কাপে। তখন লিজা তাহার ইজ্জৎ নষ্ট না করতে হাতে পায়ে ধরলে চর থাপ্পর দিয়ে বিদায় করে দেয়।
শুধু তাইনা সে হুমকি দিয়ে বলে এব্যপারে কাউকে জানালে তোকে ধর্ষন করে টুকরো টুকরো করে সুরমা নদীতে ফেলে দিবো অথবা গুম করে ফেলবে।
তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে একটু দূরে এসে ৯৯৯ এ ফোন করলে তারা দক্ষিণ সুরমা থানার সাথে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেয়। তখন তিনি দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানালে তিনি ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠান। পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে হারুনের কাছ থেকে মোবাইল, ক্যামেরা উদ্ধার করে লিজাকে দিলেও স্বর্নের চেইন উদ্ধার করতে পারেনি। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখেন ফোনের গ্লাস ভেঙ্গে গেছে। পুলিশের সামনে আবারও হারুন সংবাদকর্মী লিজাকে হত্যার হুমকি দিয়ে এই ঘটনা প্রকাশ না করতে শাসিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর লিজা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চরম দূশ্চিন্তায় পরেন। পরে তিনি গত ১৪ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার বরবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে নিজের নিরাপত্তা ও জুয়ারী, মাদক ব্যবসায়ী হারুনের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।
জুয়ারীদের ব্যপারে মহানগর পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কঠোর মনোভাব থাকার পরও
কিছু সংখ্যক অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার কারনে বন্ধ হচ্ছেনা জুয়ার ব্যবসা।
স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানায় পুলিশ ও ডিবির যৌথ সাঁড়াশি অভিযানে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সকল জুয়ার আস্তানা সপ্তাহ খানেক বন্ধ ছিলো কোন ঝামেলা ছিলোনা। এখন আবার জুয়ার ব্যবসা চলছে, শুরু হয়েছে বিভিন্ন রকম ঝামেলা। একদিকে জুয়ারীরা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে জুয়ার টাকার লেনদেন নিয়ে চলে ঝগড়া বিবাদ, হাতাহাতির মতো ঘটনা, শুধু তাইনা জুয়ায় প্রতারিতরা জড়িয়ে পড়ছে চুরি,ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে। যে কোন সময় জুয়ার টাকার বাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা।