Advertisement
সৈয়দ তারেক মো.আব্দুল্লাহ্ :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক গণমাধ্যমকর্মী তার পিতার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় সরকারি কলেজ রোডে অবস্থিত একটি বেসরকারি সংস্থার কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নিজের পিতাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের বাসিন্দা এবং বোয়ালমারী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী হাসান ফিরোজ।
লিখিত বক্তব্যে কাজী ফিরোজ উল্লেখ করেন, 'বর্তমান সরকারের আমলে আমার পিতা কাজী মুজিবুর রহমানের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করি। যাচাই-বাছাইকালে যাচাই-বাছাই কমিটির সকলে একযোগে মৌখিকভাবে তাঁর পক্ষে সাক্ষ্য দেন। তাঁর নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় না থাকায় তাঁরা দু:খ প্রকাশ করেন। অথচ অজ্ঞাত কারণে বিভক্তি তালিকায় তার নাম আসে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে আপিল করা হয়। অজ্ঞাত কারণে পুন:মূল্যায়নে যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর নাম নেই। ইতোমধ্যে দুইবার মূল্যায়নের জন্য আপিলকারীগণ চিঠি পেলেও আমার পরিবার কোন চিঠি পায় নাই।
কাজী ফিরোজ আরও বলেন, '১৯৭১ সালে আমার পিতা কাজী মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বোয়ালমারী থানার একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুবকদের সংগঠিত করা এবং তাদেরকে ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানোর ব্যাপারে তাঁর ছিল অনন্য ভূমিকা। কাজী মুজিবুর রহমান সম্মুখ যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। বোয়ালমারী থানা আক্রমণ করার তিনি ছিলেন অগ্রগামী সৈনিক। থানা পুলিশের নিকট থেকে তিনি একটা থ্রি নট থ্রি রাইফেল ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তিনি মজুরদিয়া এবং কামারখালি ঘাটের যুদ্ধে যুদ্ধকালীন কমাণ্ডার আলাউদ্দীন মিয়ার সহযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর সহযোদ্ধা, তৎকালীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের যারা নেতৃত্ব দিতেন, তাঁদের মধ্যে যারা জীবিত আছেন তাঁরা সবাই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে তাঁর ভূমিকার সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
পরিশেষে কাজী হাসান ফিরোজ বলেন, 'আমার পিতার মুক্তিযুদ্ধের কোন সম্মানী নয়, শুধু মরহুম পিতা কাজী মুজিবুর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি চাই।