Advertisement
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি:
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে হুমকি ধামকি দিয়ে গর্ভবতী মহিলার কাছে থেকে ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী শান্তা খাতুন অভিযোগ করেন উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের ফরিদপুর ঢেকিপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকীর ছেলে রিপন আলীর সাথে ১৩ বছর আগে বিবাহ হয় তার। তাদের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যার একজনের বয়স ১১ বছর ও একজনের বয়স ৯ বছর। বর্তমানে তার গর্ভে ৫ মাসের একটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে ভুক্তভোগীর বাবা মারা গেলে বাবার সম্পত্তির ভাগ পান ভুক্তভোগী নারী। সেই টাকার মধ্যে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা ঈশ্বরদী পোস্ট অফিসে নিজের নামে জমা রাখেন। তবে জমা রাখার কিছুদিন পরে জানতে পারেন পোস্ট অফিসে জমা দেওয়া সেই টাকা তার স্বামী রিপন আলীর নামে রাখা হয়েছে। আর তাকে নমিনি বানিয়ে রাখা হয়েছে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। পরে প্রায় ৫ মাস আগে তার স্বামী রিপন আলী পুনরায় আরো একজনকে বিবাহ করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর নিজেদের মধ্যে অশান্তি আরও বাড়তে শুরু করে।
এক পর্যায়ে ঈশ্বরদী পোস্ট অফিসে যে টাকা রাখা ছিল সে টাকা ফেরত চায় ভুক্তভোগী ওই নারী। টাকা ফেরত না পাওয়ায় উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের কাছে যায়। অবশেষে আলমগীর হোসেন টাকা তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন তার স্বামী রিপন আলীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে পোষ্ট অফিস থেকে টাকা তুলে দিতে বাধ্য করে।
ভুক্তভোগী ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন টাকা তুলে নিয়ে নিজের কাছে রেখে দেয়। পরে ভুক্তভোগী নারীকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা আর দেবে না বলে জানিয়ে দেয়, টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকে।
এ বিষয়ে উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক মালিথার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাইনা।
এদিকে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন জানান এটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
উক্ত বিষয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মালাডুলি ইউনিয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। পাবনা জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশে ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত শেষে দোষি প্রমানিত হলে আলমগীরের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মুলাডুলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের মাদক সেবনের কিছু চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে।