Advertisement
আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা :
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠের বাজার আবু বক্কর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ভুয়া সনদপত্র দিয়ে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ প্রদান করায় এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় অত্র মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক প্রধান কে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও নিয়োগপ্রাপ্ত গং কর্তৃক নানা ভাবে হুমকি দেওয়ায় প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ আগস্ট শনিবার সকালে মাঠের বাজারের এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অভিভাবক সদস্য নাজমুল হক প্রধান। এসময় অভিভাবক সদস্য আব্দুল মালেক, খয়বর রহমান, পলাশবাড়ী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নাজমুল হক প্রধান জানান,আমি মোঃ নাজমুল হক প্রধান, অভিভাবক সদস্য, মাঠের বাজার আবু বকর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা এবং আমার সাথে উপস্থিত আছেন মোঃ আব্দুল মালেক মন্ডল ও মোঃ খয়বর সরদার উভয়েই অত্র প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সদস্য। অত্র প্রতিষ্ঠানের সম্পূর্ণ বিধি বর্হিভূত অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে ইতি পূর্বে আমি একটি মামলা দায়ের করি। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন। অত্র মামলায় শ্রী সুনিল কুমারের একটি ভূয়া এবং প্রধান শিক্ষকের জ্বাল স্বাক্ষরীত বিদ্যালয় পরিত্যাগের ছাড়পত্র আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটি অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে গত ২৩/০৬/২০২৩ ইং তারিখে একটি অবৈধ নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ কার্যক্রম চালায় এবং শ্রী সুনিল কুমার ও মিশু আক্তার নামে দুই (০২) জনকে নিয়োগ করে। বিষয়টি পরবর্তীতে জানাজানি হলে আমরা অভিভাবক সদস্যগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা, জেলা প্রসাশক গাইবান্ধা ও মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, বেইলী রোড, ঢাকা বরাবর উক্ত নিয়োগ বোর্ড বাতিল চেয়ে আবেদন পত্র এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরণ করি। এরপর হঠাৎ করে গত ০৪/০৮/২০২৩ ইং তারিখে শ্রী সুনিল কুমার, অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও নিয়োগ কমিটির প্ররোচনায় আমার অজান্তে আমার দোকানের পার্শ্বেই আমাকে উদ্দেশ্য করে একটি শালিস বৈঠক এর আয়োজন করে উক্ত বৈঠকে ২/৩ জন ভারাটে লোকজন ছাড়া স্থানীয় কোন লোকজন উপস্থিত না হওয়ায় শ্রী সুনিল কুমার এবং ভারাটে লোকজন চিৎকার করে বলতে থাকে ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ্য) টাকা ডোনেশন দিয়ে চাকরী নিয়েছি আর নাজমুল আমার পিছনে লেগেছে। আমার প্রিন্সিপাল হুজুর এবং কমিটি আমাকে বলেছে টাকা ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ্য) নাজমুলের কাছ থেকে আদায় করে নে। অতএব টাকা ৮,০০,০০০/- (আট লক্ষ্য) যদি মার যায় তাহলে আমি নাজমুলের নামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে টাকা উঠিয়ে নিব।
অতএব সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমার আবেদন আমি সম্পূর্ন আইন-কানুন মেনে বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান অনুযায়ী আইনের দারস্থ হয়েছি। কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে হয়রানি বা হেয় করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না এবং নাই। মিথ্যা মামলা এবং হামলার হুমকিতে আমি বর্তমানে হতাশাগ্রস্থ নিরাপত্তা হীনতা এবং উৎকণ্ঠায় ভূগছি। আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।