Advertisement
আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের গৃধারীপুর গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র কর্মঅক্ষম মোহাম্মাদ ও বেলী বেগমের ৪ নাম্বার সন্তান বাদল (১৬) নামে এক শ্রমজীবী কিশোরের মৃত্যুতে গভীর রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবী অভিযুক্ত সাহারুল ইসলাম ও অজ্ঞাত এক নারী কর্তৃক জোড় পূর্বক পানীয় জাতীয় খাবারের মধ্যে ট্যাবলেট জাতীয় বিষাক্ত কোন দ্রব্য মিশিয়ে কিশোর বাদল কে খাওয়ানো হয়েছে। এঘটনায় বাদলের পরিবার পক্ষ হতে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়,নিহত কিশোর বাদল (১৬) অসহায় ও কর্মঅক্ষম বাবা মায়ের একমাত্র সম্বল। কিশোর বাদল একটি চিড়ার মিলে কর্মচারি হিসাবে কাজ করতো।এ শ্রমের বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে চলতো বাবা,মা ও এক ছোট বোনকে নিয়ে কিশোর বাদলের পরিবার। গতকাল ৩ আগস্ট চিড়ার মিল হতে কাজ শেষ করে বিকালে বাড়ী ফেরার পথে অভিযুক্ত সাহারুল ইসলাম ঠান্ডা জাতীয় কোমল পানীর সাথে বিষাক্ত ট্যাবলেট মিশিয়ে জোড় পূর্বক কিশোর বাদলকে খাওয়া ছেড়ে দেয়। এরপর কিশোর বাদল বাড়ীতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এমনবস্থায় পরিবার কিশোর বাদল কে রাতে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসীন অবস্থায় নিহত হয় শ্রমজীবী কিশোর বাদল।
অভিযুক্ত সাহারুল ইসলাম পৌর এলাকার গৃধারীপুর গ্রামেন চকপাড়ার চাতাল ও তুলা মিল ব্যবসায়ি আবু মিয়া ছেলে। এবিষয়ে তার সাথে কথা বলতে সাহারুল ইসলামের বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। বা সাহারুল ইসলামের পরিবার কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ আরজু মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান,এঘটনায় পরিবারের পক্ষে হতে এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে কিশোর বাদলের মরদেহ হাসপাতাল হতে মর্গে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনার রহস্য এখনো জানা যায়নি ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে ঘটনার মূল রহস্য।