Advertisement
আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা:
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মাঠের বাজার আবু বক্কর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় জাল সনদ পত্র দিয়ে নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন সুনিল কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি। এ অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে অভিযোগকারীদের কোর্টে যাওয়ার আহবান জানান অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান সরকার।
গত ৩০ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে করা এ অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের নিম্ন স্বাক্ষরকারীগন মাঠের বাজার আবু বকর ফযিল ডিগ্রি মাদ্রাসা EIIN: 121403, মাদ্রাসা কোড- ১৪১৩৬. পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা এর নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য । অত্র মাদ্রাসায় গত ২৩/০৬/২০২৩ ইং তারিখে অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রবিধান ২০১৯ নীতিমালা বহির্ভূত একটি নিয়োগ বোর্ড সংগঠিত হয়। উক্ত নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রী সুনিল কুমার নিরাপত্তা কর্মী পদে ও মিশু আক্তার আয়া পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। কিন্তু ইতিপূর্বে গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে নিয়োগ সংক্রান্ত ২৩১/২০২২ ও মিস আপিল ৪৮/২০২২ মামলায় শ্রী সুনিল কুমারের ভূয়া সনদ ও পরিচ্ছন্নকর্মী পদের আবেদন পত্র আদালতে বিচারাধীন আছে। অথচ এই সুনিল কুমার একজন নিরক্ষর ব্যক্তি।অতএব শ্রী সুনিল কুমারের সনদ পত্র যাচাই বাছাই করে উক্ত নিয়োগ বোর্ড বাতিল পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে নিবেদন জানান। এ অভিযোগের সাথে সংযুক্ত কপি সমূহ হলো - ১। পরিচ্ছন্নকর্মী পদে সুনিল কুমারের আবেদন পত্র, ২। ২৩১/২০২২ মামলার ফিরিস্তি ফটোকপি,৩। সুনিল কুমারের বিদ্যালয় পরিত্যাগের ছাড়পত্র, ৪। বিদ্যালয় কর্তৃক ভূয়া সনদের প্রত্যয়ন পত্র, ৫। আদালত কর্তৃক সংবাদ জানিবার দরখাস্তের ফটোকপি। অভিযোগে স্বাক্ষরকারিরা হলেন অভিভাবক সদস্য ১। মোঃ নাজমুল হক প্রধান, ২। মোঃ আব্দুল মালেক মন্ডল, ৩। খয়বর সরদার। এ অভিযোগের অনুলিপি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক, উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট প্রদান করা হয়েছে।
নিরাপত্তা কর্মী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া সুনিল কুমার দাস বলেন, মুরারীপুর ওসমান গনি উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছি৷ সেখান হতে বিদ্যালয়ের ছাড় পত্র পেয়েছি৷ আমার ছাড়পত্র সঠিক আছে। তবে মুরারীপুর ওসমান গণি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাড়পত্রে থাকা প্রধান শিক্ষক আবু মো: শাহীনুর আলম তরফদারের স্বাক্ষরের সাথে না মিললেও উক্ত ছাড়পত্র ভূয়া বা জাল হিসাবে দেওয়া প্রত্যায়ন পত্রের স্বাক্ষর সঠিক রয়েছে হিসাবে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান সরকার বলেন,কোন অভিযোগ যদি থাকে তাহলে অভিযোগকারীদের কোর্টের মাধ্যমে নিয়োগ বাতিল করুক।
অভিযোগকারিরা,উক্ত অভিযোগের আলোকে সঠিক ভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।