Advertisement
মিজানুর রহমান মিলন, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি :
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ডেমাজানী পালপাড়ার মৎস্য ব্যবসায়ীকে মারপিটও হত্যার হুমকি প্রদান পরে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগি। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৫আগস্ট সকাল ৯টায় মাছ ব্যবসার জেরে শ্রী বলরাম চন্দ্র দাস (৪৫) পিতা শ্রী সূর্য্য চন্দ্র দাসকে এবং কাজের দুই ছেলেকে মারপিট করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শ্রী নিত্যনন্দ দাস(৫২) পিতা গোবিন্দ দাস। তাহারা উভয়ই ডেমাজানী পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন দিবাশীষ ওরফে ডন(২৭), বিথী রানী(২৫), শ্রীমতি সমাত্রী দাস(২০) সকলের পিতা নিত্যনন্দ দাসসহ আরও ৪/৫জন অপরিচিদের নিয়ে পুর্বপরিকল্পনা মতে লোহার রড, ধারালো বটি, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি নিয়ে অনধিকার ভাবে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করিতে থাকে পরে তাদের গালমন্দ করতে নিষেধ করলে বিবাদি নিত্যনন্দ দাস হুংকার দিয়ে আমাকে বলে ”ওই শালাদের জীবন শেষ করে দে”। পরে আমাকে উদ্দেশ্য করে নিত্যনন্দ দাস লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে হাত দিয়ে তা প্রতিহত করি। পরে আবারও আঘাত করার চেষ্টা করলে আমার ছোট ভাইয়ের বউ স্ত্রীমতি স্বপ্না রানী ঠেকাতে গেলে বাম হাতের কনুই এ প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়ে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে সেখান থেকে রিফার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিংসা নিচ্ছেন। এছাড়াও আমার ছোট মেয়েকে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে টানিয়া আঁচড়াইয়া বিবস্ত্র করে সম্মানহানী করে। গলায় থাকা আট-আনা ওজনের স্বর্নের চেইন ছিঁড়িয়ে নিয়ে যায় তারা। স্থানীয় অনেক ব্যক্তি জানান, নিত্যনন্দ দাস একজন সুদখোর তার কারনে আজ তিনটি পরিবার ধবংস হয়ে গেছে। শ্যামল মোহন্ত, শুভোল মিয়া, সুজন মিয়াসহ আরও কয়েকজন অতিরিক্ত সুদের দায়ে বাড়ি ভিটা বিক্রি করেও ওর ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সাবেক ইউপি সদস্য আ: রশিদ টুকু মন্ডল জানান, বিবাদিগন আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে বেগতিক দেখিয়ে যাবার সময় প্রকাশ করে যে আজ তোরা জীবনে বেঁচেগেলি সুযোগ মত পেলে শেষ করিয়ে দেব লাশও গুম করবো। এবিষয়ে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।