Advertisement
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
কয়েকদিনের টানা ভ্যাপসা গরমে পটুয়াখালীর দুমকীতে ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন ভাইরাস জনিত জ্বর, সর্দি -কাশি ও পেটের পীড়াসহ নানান সীজনাল অসুখ দেখ দিয়েছে। উপজেলার কোন কোন গ্রামে ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারন করতে শুরু করেছে। এতে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
অপর দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ডেঙ্গু রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইভি স্যালাইন, ডেঙ্গু শনাক্তের কীট সংকটে পড়েছে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
৩১ শয্যা বিশিষ্ট দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২আগস্ট) পর্যন্ত ভর্তিকৃত মোট ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৪৪। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে গেছে ১১৬জন। আজ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৮ জন। এরমধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আঙ্গারিয়া ইউনিয়নে ৫৫জন। শ্রীরামপুর ইউনিয়নে ৪৭ জন এবং আক্রান্তদের মধ্যে বেশিই মহিলা রোগী। আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আবুল হোসেন আবু মিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির ১০টি স্পট থেকে মশার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে ভর্তি একাধিক ডেঙ্গু রোগী অভিযোগ করে জানান, তাদের ভোগান্তিতে পড়ে বেসরকারি বিভিন্ন প্যাথলজি সেন্টারগুলোতে চড়া মূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: জিএম এনামুল হক বলেন, এ বছরের জুলাই মাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন ১৪৪ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৮ জন। গতকাল মঙ্গলবার ২'শ আইভি স্যালাইন পেয়েছি।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ মীর শহিদুল হাসান শাহীন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু নির্ণয়ের কীটের সরবরাহ পর্যাপ্ত না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। জুলাই মাসে ২কিস্তিতে মোট ১৮০টি ডেঙ্গু নির্নয়ের কীট পেয়েছি বর্তমানে হাসপাতালে কীট নাই তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা দিয়েছি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা: এস এম কবির হাসান বাংলাদেশ প্রকাশকে বলেন, এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।