Advertisement
আলী রেজা রাজু, ঢাকা-: ঢাকার ধামরাইয়ে একটি বাসা-বাড়িতে, মামলার বাদী মোঃ ফজলুল হক (৪০) এর বড় ভাই জিন্নাত আলী (৫৫) একজন সৌদি প্রবাসী। প্রতিদিনের ন্যায় তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও তার ছেলের স্ত্রী ঘরের জানালা বন্ধ করে ঘুমাতে যায়। গত ০৪/০৯/২০২২ তারিখে রাত্রি অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় বাদীর বড় ভাইয়ের ঘরের টিন কেটে কৌশলে হাত ঢুকিয়ে ঘরের দরজার খিল খুলে অজ্ঞাতনামা বিবাদী ঘরের ভিতর প্রবেশ করে বাদীর বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে উঠায়। বাদীর ভাইয়ের স্ত্রী মোসাঃ উজুফা বেগম ঘুম থেকে উঠে দেখে ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা, ছুরি, দা, নিয়ে দাড়িয়ে আছে এবং ফজলুল হকের বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে এবং চিৎকার করিলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকী প্রদান করে। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা আসামীরা বাদীর বড় ভাইয়ের ছেলের বউ ও তার দুই সন্তানদের ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। অজ্ঞাতনামা আসামীরা ফজলুল হকের ভাইয়ের ঘরে জমানো নগদ ১০/-(দশ হাজার) টাকা, ফজলুল হকের ভাইয়ের স্ত্রীর ১ ভরি স্বর্নের গহনা ও ৮ ভরি রূপার গহনা সহ ২ টি এনড্রয়েট মোবাইল ফোন, ও একটি টিপি লিংক রাওডার সহ একটি কালো রংয়ের সুজুকী জিক্সার এস এফ এফ আই মটর সাইকেল, অজ্ঞাতনামা আসামীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটর সাইকেল, একটি পানির মটর সহ সর্ব মোট ৪০০,০০০/-(চার লক্ষ) টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এই সংক্রান্তে ফজলুল হক বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করে মামলা নং-০৯, তারিখ- ০৭/০৯/২০২২ ইং, ধারা- ৩৯২ পেনাল কোড। ল ইং ২৭/১১/২২ তারিখ উক্ত মামলাটির তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবি, জনাব মোবাশূশিরা হাবীব খানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে জনাব মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব), অফিসার ইনচার্জ, ডিবি (উত্তর), ঢাকা এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ আনোয়ার হোসেন এর একটি চৌকষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার সাভার, এবং ধামরাই থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গত ১৭/০৯/২০২৩ খ্রি. তারিখ বিশ্বস্ত সোর্সের দেওয়া তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করপ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১. মোঃ রমজান আলী (২৫), পিতা-মৃত মোঃ রমজান আলী, মাতা-মৃত মানিক্কি বেগম, সাং-সুঙ্গর, খানা- ধামরাই, জেলা-ঢাকা কে ইং ১৭/০৯/২০২৩ তারিখ ১৩:৪০ ঘটিকার সময় সাভার মডেল থানাধীন আড়াপাড়া ফকির বাড়ী মসজিদের সামনে হইতে গ্রেফতার করে ডিবি এবং আসামীর স্বীকারোক্তি মতে আসামীর হেফাজত হইতে অত্র মামলার লুন্ঠিত একটি রেডমী-৭, মোবাইল সেট উদ্ধার করে হয়। আসামীর স্বীকারোক্তি ও তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামীকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করিয়া আসামী ২.মোঃ জসিম উদ্দিন (৪০), পিতা-মোঃ ইন্তাজ আলী, মাতা-মোসাঃ রানু বেগম,সাং-সুঙ্গর, থানা- ধামরাই জেলা-ঢাকা কে ইং ১৭/৯/২০২৩ তারিখ ১৬:২৫ ঘটিকার সময় ধামরাই থানাধীন সুঙ্গর এলাকা হইতে গ্রেফতার করে হয়, আসামীর হেফাজত থেকে মামলার ডাকাতি হওয়া মালামালের মধ্য হইতে একটি রেডমি-Y3, মোবাইল সেট উদ্ধার করে জব্দ করে। আসামী আরিফ এর দেওয়া তথ্যে আসামী ৪. মোঃ খোকন (২৫), পিতা- মোঃ গেদা মিয়া, মাতা-মোসাঃ নুরজাহান বেগম,সাং-সুঙ্গর, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা কে সাভার থানাধীন ওয়াপদা রোড এলাকা হইতে ইং ১৭/৯/২০২৩ তারিখ ২১:৩৫ ঘটিকার সময় গ্রেফতার করা হয়। উক্ত আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামী ৫. মোঃ হুমায়ুন কবির (৩০), পিতা- মোঃ আঃ সাত্তার, মাতা-মোসাঃ হেনা বেগম,সাং-দৌলতপুর উত্তর পাড়া, দয়ালপুর, থানা-সরিষাবাড়ী, জেলা- জামালপুর, কে গ্রেফতার করা হয়। ১-৪ নং আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা ডাকাতি করার কথা স্বীকার করে এবং তাহারা সেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে কাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। অন্য আসামী হুমায়ুন কবির ১ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছে। মামলাটির মূল রহস্য উদঘাটিত। অন্যান্য আসামী গ্রেফতার এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে।