lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩
Last Updated 2023-10-15T12:02:17Z
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের ভ্যাক্সিন, যেতে হয় জেলা হাসপাতালে

Advertisement


মাহতাবুর রহমান, নিজস্ব প্রতিবেদক


বরগুনা জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে জলাতঙ্ক প্রতিষেধকের ভ্যাক্সিন নেই। বাধ্য হয়েই ৬ টি উপজেলার সাধারণ মানুষের যেতে হয় জেলা সদর হাসপাতালে। এতে বাড়তি খরচের পাশাপাশি সময়ও নষ্ট হচ্ছে বাড়ছে জনভোগান্তি । কেউ কেউ এই অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে কুকুর বা বিড়ালে কামড়ালে কবিরাজের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এতে মৃত্যুঝুঁকি অনেকটাই বাড়ছে।



বরগুনা জেলার বৃহত্তর উপজেলা আমতলীর সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও সেখানে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক না থাকায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। উপজেলা পর্যায়ে এই ভ্যাক্সিনের সরবরাহ না থাকায় অতিরিক্ত দাম দিয়ে বাহিরের ঔষধের দোকান থেকে কিনতে হচ্ছে রোগীদের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাক্সিন না পেয়ে রোগীদের বাধ্য হয়ে পায়রা (বুড়িশ্বর) নদী পাড়ি দিয়ে চিকিৎসা নিতে যেতে হয় বরগুনা সদর হাসপাতালে। এতে দেড়শ থেকে দুই শত টাকা খরচ হয়। অনেক ক্ষেত্রে গরিব ও অসহায় পরিবারের রোগীরা টাকার অভাবে কুকুর বিড়ালে কামড় দিলেও ভ্যাক্সিন দিতে পারছে না। কেউ কেউ আবার না বুঝেই শরণাপন্ন হচ্ছেন কবিরাজের। এতে জলাতঙ্ক রোগের ঝুকি বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে। 



পৌর শহরের সবুজবাগ এলাকার বিড়ালের কামড়ানো রোগী লাভলী আক্তার বলেন, জেলা সদরে যাওয়ার চেয়ে ওষুধ কিনে টীকা দিয়েছি। যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টীকা দেওয়া হতো তাহলে আমার ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হতো না।



উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের বিড়ালের কামড়ানো রোগী হাসিনা আক্তার বলেন, বরগুনা সদর হাসপাতাল থেকে এই প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিয়েছি। যদি আমতলী উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে এই প্রতিষেধক পেতাম তাহলে আমার বাড়তি খরচ হতো না। সময়ও বাঁচত।



হলদিয়া ইউনিয়নের কবির নামের এক ব্যক্তি বলেন, মাস খানেক আগে আমার ছোট ছেলেকে কুকুরে কামড়িয়েছিল। বরগুনা সদর হাসপাতালে যাওয়ার টাকা ছিল না। তাই এলাকার এক কবিরাজের কাছে গিয়ে মিঠা পড়া ও ঝাড়ফুঁক দিয়েছি। আমতলী হাসপাতালে যদি টীকা থাকত তাহলে ওখানে গিয়ে টীকা দিতাম।



এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনায়েম সাদ বলেন, জেলা হাসপাতালে কুকুরে কামড়ের ভ্যাকসিন আছে। উপজেলা পর্যায়ে চার-পাঁচ মাস পর পর ৫০- ৬০ টি ভ্যাক্সিন পেয়ে থাকি। যেগুলো আসে তা কয়েকদিনে শেষ হয়ে যায়। যার কারণে আমরা রোগীদের যথাযথভাবে ভ্যাক্সিন দিতে পারি না। এমন রোগী আসলে আমরা জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই।



বরগুনা জেলার সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল হক বলেন, বরগুনা জেলার জন্য যে পরিমাণ ভ্যাক্সিনের প্রয়োজন আমরা সেই পরিমাণ ভ্যাক্সিন পাই না। যখন ভ্যাক্সিন আসে তখন সকল উপজেলায় যতটা সম্ভব পাঠিয়ে থাকি। বর্তমানে বরগুনার সদর হাসপাতালে ভ্যাক্সিন আছে। বরগুনা জেলার যেকোনো উপজেলা থেকে এসে যেকোনো সময় এই ভ্যাক্সিন নিতে পারবে। পরবর্তীতে ভ্যাক্সিন আসলে আমরা সকল উপজেলায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করব।