Advertisement
পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুর ইন্দুরকানী উপজেলার গাবগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক রমিত ডাকুয়া’র নামে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত না হওয়া, নিজ বাসায় নিয়ম বর্হিভূত কোচিং টিউশন করানো, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টিফিনের পরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে তার নামে। এছাড়াও তিনি লোবিং ও প্রভাব বিস্তার করে উপজেলার ও জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইন্দুরকানী উপজেলার গাবগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক রমিত ডাকুয়া। তিনি নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। নিজ বাসায় নিয়ম বর্হিভূত কোচিং টিউশন করানো নিয়েই ব্যস্ততার কারনে নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারেন না বলে অভিযোগ একাধিক শিক্ষদের।
শিক্ষক ও স্থানীয়রা জানান, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক রমিত ডাকুয়া ইংরেজীর শিক্ষক হওয়ায় তার কিছুটা চাহিদা থাকার সুযোগে তিনি বাসায় কোচিং ও টিউশন করানো বিশাল ব্যাচ খুলে বসেছেন। তাই সকালে নির্ধারিত সময়ে তিনি কখনোই বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারেন না। এছাড়াও বিকেলে তার বাসায় টিউশনের শিক্ষর্থীদের চাপ থাকার কারনে প্রায় দিনই তিনি ছুটির আগে নানা অযুহাতে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। তিনি নিজ বাসায় প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণীর ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীদের ব্যাচ করে কোচিং ও টিউশন করান। এছাড়াও তিনি গত মাসে বেশ কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষককে উপেক্ষ করে লবিং ও প্রভাব বিস্তার করে নিজ উপজেলা ও জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচনী পরিক্ষায় বিভিন্ন ক্যাটগরিতে নাম্বারে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা এবং চাকরির বয়সসীমা মাত্র ৬ বছর হলেও তিনি ১৮ থেকে ২০ বছর চাকুরির বয়স প্রাপ্ত শিক্ষকদের পেছনে ফেলে উপজেলা ও জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বলে অভিযোগ একাধিক শিক্ষকদের।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গাবগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক রমিত ডাকুয়া জানান আমার বিরুদ্ধে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্য ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
গাবগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছবি হালদার জানান, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক রমিত ডাকুয়া নিয়মিত বিদ্যালয়ে দেরী করে আসেন তা না কিন্তু মাঝে মাঝে তিনি ডিসি অফিসের কাজে যান তাই তিনি বিদ্যালয়ের বাহিরে থাকেন।
ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুল হাকিম জানান, এ বিষয়ে কারো থেকে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।