lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩
Last Updated 2023-10-25T12:07:17Z
জাতীয়

সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

Advertisement


 

আলমগীর কবীর হৃদয়, পাবনা জেলা প্রতিনিধি:-বাংলাদেশের চারটি  সর্ববৃহৎ রেলওয়ে জংশনের মধ্যে ঈশ্বরদী অন্যতম। দেশের উত্তর এবং দক্ষিন বঙ্গকে রেল যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ঈশ্বরদীর গুরুত্ব অপরিসীম। ভৌগলিক দিক আর সহজ সরল যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ঈশ্বরদী জংশনের জুরি মেলা দায়। কিন্তু সেই স্টেশন থেকেই এবার দুটি ট্রেন অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষনা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে করে ঢাকাসহ দেশের দক্ষিনাঞ্চলের সাথে ঈশ্বরদী, পাবনা, চাটমোহর , বড়ালব্রীজ, উল্লাপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকার ট্রেন  যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এই ট্রেন যেন বন্ধ না হয় সেই দাবি জানিয়ে ঈশ্বরদীর একাধিক সংগঠন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে।

বুধবার (২৫ সেপোটম্বর) সকাল ১১ টায় ঈশ্বরদী বাজারের প্রধান ফটক এবং ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।কর্মসূচিতে এলাকার সংগঠক, দিন মজুর, খেলোয়াড় ,সাংবাদিক, সাধারণ যাত্রীসহ ঈশ্বরদীর আপামর জনতা উক্ত  কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেন।

মানববন্ধন থেকে বক্তারা ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের পুরনো ঐতিহ্য রক্ষা এবং এ অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীদের ঈশ্বরদী-ঢাকার মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার্থে ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে অন্তত নতুন দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু ও অন্যান্য ট্রেনে আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান।

দীর্ঘদিন ধরে খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকার পথে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে আসছে। এতে ঈশ্বরদীর হাজারো যাত্রী এই ট্রেন গুলোতে ঢাকায় যাতায়াত করত। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ এই ট্রেন দুটির রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে চালানোর জন্য ১ নভেম্বর থেকে ঈশ্বরদী লাইন বাতিল ঘোষণা করেছে। এতে এ অঞ্চলের ট্রেন যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়বেন বলে তারা ধারনা করছে। এ অবস্থায় ঈশ্বরদী থেকে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দাবি জানান তারা। দ্রুত তাদের দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি খোন্দকার মাহাবুবুল হক দুদু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মাসুদ রানা, যুবনেতা মিলন চৌধুরী, আসাদুর রহমান বিরু, ওহিদুজ্জামান টিপু প্রমূখ।

এসময় অবিলম্বে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন ট্রেন চালু ও অন্যান্য ট্রেনে আসন সংখ্যা বাড়ানো ঘোষনা বাংলাদেশ রেলওয়ে না দিলে কঠোর থেকে কঠিনতম আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষনা করেন।