Advertisement
হাজী জাহিদ
নরসিংদী কাউরিয়া পাড়ার আকবর আলী মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা গত - ইং তারিখ রাত আনুমানিক ৯ টার সময় কাউরিয়া পাড়া পৌর ঈদগায় দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করে এবং এলাকার সুশীল সমাজ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। অনুসন্ধানে জানা যায় , রানা মোল্লা একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী , একাধিক খুন ডাকাতি চাঁদাবাজি হত্যার চেষ্টা ছিনতাই মারামারি নারী নির্যাতন অস্ত্র সহ নরসিংদী মডেল থানায় ও আদালতে এক ডজন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। একটি মার্ডার মামলায় এ মাসে তার বিরুদ্ধে রায় হওয়ার দিন-ধার্য্য হয়েছে। জানা যায় , রানা মোল্লার বাড়ি আড়াই হাজার উপজেলার গোপালদীতে। নরসিংদী কাউড়িয়া পাড়ায় তার নানা'র বাড়ি। এখানে বসবাস করে সে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে খুন রাহাজানি ছিনতাই চাঁদাবাজি মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িয়ে যায়। রানা কাউড়িয়া পাড়ায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে তার আন্ডারে রয়েছে হাত কাঁটা সবুজ, খান আলামিন, বল্টু, সন্ত্রাসী মরহুম বল্লা, আবু সিদ্দিক তারাও খুন হয় এই এলাকায় । এলাকাবাসী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলে সে কিছুদিন অপকর্ম ছেড়ে ভালো হওয়ার নাটক করেন। আগের রাজনৈতিক গ্রুপ পরিবর্তন করে নতুন গ্রুপে যোগ দিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালু করে রানা বাহিনী। এ সকল কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তার-ই সহযোগী সবুজ খান আলামিন গং একত্রিত হয়ে তাকে কুঁপিয়ে পিটিয়ে গুলি করে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনা স্থলে খুন করে। কিন্তু এই মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নির্দোষ মানুষকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এজাহার করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চার-পাঁচ রকম এজাহার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এখানে নরসিংদীর জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং তাদের পারিবারিক শত্রুদেরকে আসামি করার চেষ্টা চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় , প্রকৃত পক্ষে এখনও মামলা হয়নি। এ বিষয়ে তাহিনুর বেগম জানান , ২০১৩ সালে তার বোন কোহিনুর-কে কুঁপিয়ে হত্যা করে রানা গং। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা রয়েছে রানা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে রায় হওয়ার তারিখ ধার্য্য ছিল এই মাসে কিন্তু কারণ বশতঃ রায়ের তারিখ পিছিয়ে যায়। বর্তমানে তাহিনূর ও তার স্বামী সোহেলকে রানা হত্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছেন। তিনি জানান ঘটনার সময় তিনি তার বাড়িতে ছিলেন। বাড়িটি সিসি ক্যামেরার আওতায়। প্রশাসন সিসি ক্যামেরা চেক করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহিনূর ও তার স্বামী এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তাহিনূর আরো জানান রানা মোল্লার আত্মীয় স্বজনেরা একেক ধরনের এজাহার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছেন এবং তাহিনূর ও তার স্বামীকে হুমকি দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউরিয়া পাড়া ঘোষপাড়া ব্রাহ্মণ পাড়ার একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন রানা আকবর মোল্লা_ খুন হওয়ার পর এলাকার মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। প্রকৃত পক্ষে সে একজন অপরাধী কিলার সে-ই এলাকায় খুন-খারাপি চাঁদাবাজি রাহাজানি করে বেরাত।
অপরদিকে নূর বেগম জানান রানা'র নেতৃত্বে এলাকায় একাধিক খুন হয়েছে বর্তমানে এলাকা নিরাপদ হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট রানা প্রকৃত পক্ষে একজন কিলার একাধিক বিবাহ করেছে এবং একজন নারী নির্যাতনকারী ছিল। তার ভয়ে মা-বোনেরা আতঙ্কে রাত কাঁটাতো । অপর দিকে রানা'র শ্বশুর জানান রানা খুন হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সে আগে যে গ্রুপ করেছিল এই গ্রুপ পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের নতুন অপর গ্রুপে যোগ দেওয়ায় সে গ্রুপের লোকেরা তাকে খুন করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তার সহযোগীরা-ই তাকে খুন করেছে। তার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহযোগী এবং একাধিক মামলার পার্টনার হাত কাঁটা সবুজ গং রানাকে খুন করেছে ।
রানা মোল্লার অপকর্মের আমল নামাঃ-
মামলা নং ২৫/৯ -২- ১৩ ইং , (১) হত্যা মামলা ২-১০-৯ ইং (২) মামলা-০৪/৪-৮-১৫ ইং , (৩) মামলা-৪৮৬/৯-২-১৩ ইং,
(৪) মামলা- ,২৮৭১১/৯-১২-১১ ইং, (৫) মামলা-২৩৬২৩/১৩-১০-১০ ইং, (৬) মামলা-৩২৩০৭/১৯-৬-৯ ইং
(৭) চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্মারক নং- ৯০২১১৩
(৮) মামলা নং ৪০(১২৬)
(৯) মামলা নং ২৮(১১১১) ৩০১ (১০) মামলা নং ২৩১০১০
(১১) মামলা নং ২৫২১৩
(১২) মামলা নং ৬১৯১৯।