Advertisement
হাজী জাহিদ, নরসিংদী
নিউজিল্যান্ড পাঠানোর নামে বাপবেটার প্রায় ৫ কোটি টাকার আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া যায়। অধিক বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভুক্তভোগিদেরকে বিদেশে অর্থাৎ নিউজিল্যান্ডে পাঠানোর নাম করে ১৭ ব্যক্তির কাছ থেকে জন প্রতি ১৫ লক্ষ টাকা করে আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে, ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা সর্বস্ব হারিয়ে পরিবার ও পরিজন নিয়ে এখন বিপাকে। প্রতারণার শিকার ওই ১৭ ব্যক্তি হলেন , মোঃ তৌসিক - পলাশ গড়পাড়া পলাশ নরসিংদী, জাকারিয়া সরকার - খানীপুর পলাশ সারকারখানা পলাশ নরসিংদী, আনিসুর রহমান - নওগাঁ বাজার ধামরাই ঢাকা, উদয় দাস - কুলিয়ারচর কিশোরগঞ্জ, জাকির হোসেন - মনোহরদী নরসিংদী, হৃদয় - সিরাজদিখান মুন্সিগঞ্জ, মীর মোঃ হুমায়ুন কবির - ভালুকা ময়মনসিংহ, রিপন ঘোষ - কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী, রাজীব হোসাইন - ঢাকা দোহার, মোঃ শাহ আলম - নোয়াখালী, জাকির হোসেন - ভৈরব কিশোরগঞ্জ, সেলিম হোসেন - শিমুলীয়া দুলালপুর, আমিনুর রহমান - কুষ্টিয়া, মোঃ সোহাগ মিয়া - দড়িহাইরমারা রায়পুরা, আল আমিন মিয়া - দোহার ঢাকা, আফজাল হোসেন - কটিয়াদী কিশোরগঞ্জ, মোঃ আনোয়ার হোসেন । আরো অনেক ভুক্তভোগি আছে বিভিন্ন কারণে আসতে পারেনি , প্রতারণার শিকার হওয়া ১৭ জন টাকা ফেরত পেতে পলাশ ৪ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা রিফাত হোসেন এবং রিফাতের পিতা কনক মিয়া কাছে টাকা ফেরত নিতে আসলে প্রতারক রিফাত পালিয়ে যায়, প্রতারক রিফাতের বাবা প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সাথে অশোভন আচরণ করেন, তাই তারা এলাকার মানুষের পরামর্শ নিয়ে মেয়র আল-মুজাহিদ হোসেন তুষার ও মহিলা কাউন্সিলর এবং ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম রোমেলের কাছে অভিযোগ করেন। ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম রোমেলের সাথে সাংবাদিকদের মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান প্রতারণা শিকার হওয়া ওই ১৭ জন ব্যক্তির সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম প্রতারক রিফাতের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করে দিব বলেছিলাম কিন্তু প্রতারক রিফাত টাকা দিতে পারবো না বলে জানান, প্রতারক রিফাতের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে রিফাত বলেন মেয়র কাউন্সিলরের সাথে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে বলে মিথ্যা কথা বলেন। কেটি কোটি টাকা নিয়ে বিদেশ পাঠালেননা কেনো এই নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে রিফাত কোন উত্তর দিতে পারেনি, ভালো বেতনে চাকরি ও সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে নিউজিল্যান্ড পাঠানোর কথা বলে প্রতারক রিফাত ও তার বাবা কনক মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের কাছ থেকে জন প্রতি ১৫ লক্ষ করে টাকা নেন, ২০ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন প্রতারণার শিকার হওয়া ওই ১৭ ব্যক্তি, হৃদয় নামের ভুক্তভোগী বলেন আমি আমার বাড়ির জায়গা বিক্রি করে টাকা দিয়েছিলাম নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আশা করে আজ আমার বাড়ির জায়গাটুকু নেই আমি রাস্তার ভিখারি হয়ে গেছি, মোঃ তৌসিফ বলেন বাড়ির জায়গা বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে লোন উঠিয়ে টাকা দিয়েছিলাম এখন আমি ব্যাংকের টাকা কি করে শোধ করবো, আমরা এই ১৭ জন একই সাথে সিঙ্গাপুরে কাজ করতাম আমাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিউজিল্যান্ড পাঠাবো বলে এক একজনের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে নেয় রিফাত। আমাদের নিকট থেকে ছাড়াও আরো অনেকেই আছে কারো কাছ থেকে ৪ লাখ আবার কারো কারো কাছ থেকে ৭ লাখ ৮ লাখ এইভাবে অনেক লোক থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকা প্রতারনা করে হাতিয়ে নিয়েছে রিফাত ও রিফারে বাবা কনক, প্রতারনা করে টাকা নেওয়ার পরে আমাদের ভিসা প্রসেসিং হচ্ছে এই বলে আমাদেরকে বলল তোমরা বাংলাদেশের ফিরে যাও তোমাদের ভিসার প্রসেসিং চলছে আমরা সবাই একসাথে সিঙ্গাপুর থেকে রিজাইন দিয়ে বাংলাদেশের চলে আসি, এসে দেখি সম্পূর্ণটাই ভুয়া, এখন আমরা কোথায় যাব ? কার কাছে যাব ? প্রতারণার শিকার হওয়া ওই ১৭ জন ব্যক্তি ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র আল মুজাহিদ হোসেন তুষার এর কাছে স্বরনাপন্ন হলে প্রতারণার শিকার হওয়া সবাইকে একত্রিত করে ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র আল মুজাহিদ হোসেন তুষার ও কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম রোমেল রিফাত ও রিফাতের বাবাকে সময় বেদে দেন। বারবার সময় বেদে দিলেও রিফাত ও রিফাতের বাবা কোনো কর্ণপাত করেননি। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যেন প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয় , না হলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।