Advertisement
প্রতিনিধি বরগুনা:
বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের অর্থ ও সিলিপসহ বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতকারী তালতলীর সেই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলালকে বদলি করা হয়েছে। বরিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন -১) মোঃ আব্দুল আলীম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। ওই আদেশে উল্লেখ আছে প্রশাসনিক কারনে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে তাকে বদলী করা হয়েছে। তার বদলীর আদেশের খবর তালতলীতে পৌছলে সাধারণ শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
জানাগেছে, ২০১৯ সালে মনিরুল ইসলাম তালতলী উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ওই বছর ২৬ জানুয়ারী তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পেয়েই তিনি নানাবিধ অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন বলে অভিযোগ করেন উপজেলা ৪৮ জন প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকদের অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম বিদ্যালয়ের সিলিপ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের টাকা আত্মসাৎ ও বিদ্যালয় পরিদর্শনে ঘুষ গ্রহন করেছেন। তিনি শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ ওই প্রধান শিক্ষকদের। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উপজেলার ৪৮টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দেন। প্রধান শিক্ষকদের আরো অফিযোগ টিও (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম সিলিপের বরাদ্দ টাকা উত্তোলন করতে অগ্রিম ২০% নেন। টাকা না দিলে তিনি সিলিপের বরাদ্দ টাকা উত্তোলনের কাগজে স্বাক্ষর দেয় না। তাকে টাকা না দিলে শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করতেন। নিরুপায় হয়ে শিক্ষকরা তাকে ঘুষ দিয়ে আসছিল। অপর দিকে শিক্ষকদের বকেয়া বেতন উত্তোলনে তাকে সিংহভাগ টাকা দিয়ে হয়। এ ঘটনায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পান তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক। পরে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়ে দেন। তার তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে বরিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন -১) মোঃ আব্দুল আলীম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সহকারী শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলামকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। ওই আদেশে উল্লেখ আছে প্রশাসনিক কারনে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে তাকে বদলী করা হয়েছে।
তালতলী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, বদলীর আদেশ এখনো হাতে পাইনি। তবে বদলীর আদেশ হয়েছে শুনেছি।
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মুকিত মোল্লা বলেন, প্রশাসনিক কারনে তাকে বদলী করা হয়েছে। চিঠির আদেশ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।