lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
Last Updated 2023-11-15T15:01:52Z
আইন ও অপরাধ

নাগেশ্বরী সেন্টাল ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় নবজাতকসহ মা’য়ের মৃত্যু

Advertisement


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:


কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সেন্টাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক রাশেদুল কবির ও পাটনার ডিএমএফ আখেরুল ইসলামের অবহেলা এবং নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপেলেক্স মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোছাঃ মাহমুদা খাতুন মুক্তা ভূল চিকিৎসায় নবজাতকসহ মা’য়ের মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও বিচার থেকে বঞ্চিত।



ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত (১৩নভেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টায় কাশিপুর হউনিয়নের গংগারহাট (ধর্মপুর) সরকারটারী গ্রামের বেলাল হোসেনের গর্ভবতি স্ত্রী মাহফুজা বেগম কে সিজারের জন্য নাগেশ্বরী সেন্টাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসে। ক্লিনিকে আসার পর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে রোগির অভিভাবকদের দ্রুত সিজার করাতে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। অবশেষে রোগীর পরিবার সিজার করাতে বাধ্য হন। অতঃপর নাগেশ্বরী সেন্টাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক রাশেদুল কবির ও পাটনার ডিএমএফ আখেরুল ইসলামের পরামর্শে নাগেশ্বরীর পৌরসভার মধুরহাইল্লা গ্রামের হোমিও চিকিৎসক আব্দুল কাদের আলীর মেয়ের সন্তান স্থায়ী বাসিন্দা ও দুই বছর থেকে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপেলেক্স মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোছাঃ মাহমুদা খাতুন মুক্তা অফিস চলাকালীন সময়ে অত্র ক্লিনিকে এসে প্রায় সকাল ১০টায় সিজার করেন। সিজার অপারেশনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকা সত্বেও তিনি অপারেশন করেন এবং ক্লিনিক পক্ষের অবহেলা ও ডাক্তারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে গর্ভবতি মা ও নবজাতকের মৃত্যু অপারেশনের থিয়াটারে ঘটে। তরিঘরি করে ক্লিনিক পক্ষ রোগীর পরিবার কে মৃত্যুর খবর গোপন করে মৃত্যু মা ও নবজাতক শিশুকে এমভুলেজে করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার করে। কুড়িগ্রাম যাওয়ার পথে রোগীর পরিবার মা ও নবজাতক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পেরে ক্লিনিকের সামনে বিচার চেয়ে অবস্থান করে। এ নিয়ে জনগনের মাঝে ক্ষোভের সুষ্টি হলে তৎতক্ষণিক রোগীর পরিবার কে হা-পা ধরে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে ধামার চাপা দিয়ে আপোষ করার চেষ্টা করেন। অতঃপর ক্লিনিক পক্ষ ও দালাল চক্রের সহযোগিতায় জোর পুর্বক রাতেই মৃত্যু মা ও নবজাতকের দাফন শেষ করেন।



নাগেশ্বরী সেন্টাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক রাশেদুল কবির বলেন, রোগীর পরিবারের সাথে কথা হয়েছে। রোগীর পরিবার রাতেই মৃত্যু মা ও নবজাতকের দাফন শেষ করেছে।



নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপেলেক্স মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোছাঃ মাহমুদা খাতুন মুক্তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।



কুড়িগ্রাম সিভিল সাজন ডাক্তার মনজুর এ-মোর্শেদ সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।



রংপুর স্বাস্থ্য দফতরের বিভাগীয় পরিচালক এ,বি,এম, আবু হানিফ এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করেন। তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।