Advertisement
বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালতের রায় উপেক্ষা করে দলবল নিয়ে এক সৌদি প্রবাসীর জমির পাকা ধান কেটে নেওয়া সহ যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সুযোগ্য এই ইউপি চেয়ারম্যানের পেশাগত ও জনপ্রিয়তার ইমেজকে সংকটে ফেলতে এবং রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে এমন মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদে বলা হয়েছে যে, ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে অনৈতিক উপায়ে নিজস্ব বিশেষ বাহিনী সাথে নিয়ে এসব অপকর্ম করে চলেছেন। যা ইউনিয়ন পরিষদ (স্থানীয় সরকার) আইন নীতিমালা পরিপন্থী। একই সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধ। এতে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই সৌদি প্রবাসী।
তবে অনুসন্ধানে আনিত অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য ও জনপ্রিয় চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুলের কোন সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এমন কাল্পনিক অভিযোগ এনে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
উল্লেখিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বুলবুল বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে ওই জমি আমার বা আমাদের।জমির ধান আমি কেটে নিয়েছি। এর আগে, দবির মোল্লা আমাদের জমিতে বেআইনিভাবে ধান রোপণ করেন। ঘটনা সংক্রান্তে সংশ্লিষ্ট আইন ও ধারায় তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অথচ, একটি কুচক্রি মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়া, ভূমিদখল, বৃক্ষ নিধন সহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই আমার পথ চলা। এছাড়া আমি একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা ও সাহসিকতার সহিত কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই যে, সম্প্রতি সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি ও আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত ওই অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে। একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেনা অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীরা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করছেন তারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। এতে সাড়া না দেওয়ায় এখন অনেকটা ব্লাক-মেইলের শিকার হচ্ছি। মূলত এটিই হলো পিছনের গল্প।
আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনো-ই প্রতিষ্ঠিত হয়না। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।