lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩
Last Updated 2023-11-09T02:57:11Z
জাতীয়

গাজীপুরে পুলিশের এপিসি কারে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে তিন পুলিশ আহত

Advertisement


এম এইচ শাহীন, গাজীপুর প্রতিনিধি


তৈরি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের নূন্যতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের কারখানায় আন্দোলন চলছে। এর জেরে গত মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড় এলাকায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় নিয়োজিত পুলিশের একটি সাঁজোয়া যানের (এপিসি) ভেতরে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণে পুলিশ বাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।



এদের মধ্যে একজনের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহতদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।



এছাড়া শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দুপুরে সংঘর্ষ চলাকালে এক নারী নিহত হওয়ার পর পুলিশ আহত হওয়ার খবর জানা যায়। 



গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানান, নগরীর নাওজোড় এলাকায় পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষের সময় সেখানে থাকা এপিসির ভেতরে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।



আহতরা হলেন- জিএমপির এসআই প্রবীর (৪০), নায়েক মোরশেদ আলম খান (৩৫) ও পুলিশ কনস্টেবল ফুয়াদ হাসান (২৭)।



এদের মধ্যে ফুয়াদের ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, মাথাতেও আঘাত রয়েছে। নায়েক মোরশেদের দুই হাত ও পায়ে ক্ষত এবং এসআই প্রবীরের মাথায় ও মুখে আঘাত থাকার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। জিএমপি'র পুলিশ কমিশনার জানান, এ তিনজনসহ বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় মোট আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরমধ্যে সকালে কোনাবাড়ি এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন এবং বিকেলে নাওজোড় এলাকায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিকেলে যেসব পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে এপিসির ভেতরে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তিনজন রয়েছেন।



এর আগের দিন সরকার ঘোষিত সাড়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকার সর্বনিম্ন মজুরি প্রত্যাখান করে বুধবার সকালে পোশাক শ্রমিকরা আবার সড়কে নামে। এ আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষের সময় এক নারী শ্রমিক নিহত হন। এরপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও দুপুরের পর আহত নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবরে আবারও কোনাবাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশের পাঁচ সদস্য গুরুতর আহত হয়।



পরে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব এর সমন্বয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শ্রমিকরা পিছু হটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।



এক পর্যায়ে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পুরানো টায়ারে ও পুরনো আসবাবপত্রে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ শুরু তারা। সন্ধ্যায় তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।