lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
Last Updated 2023-11-16T12:13:36Z
আইন ও আদালত

শার্শায় বিজিবির জব্দকৃত ৭২.৪৫০ কেজি স্বর্ণ মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

Advertisement


 

বেনাপোল প্রতিনিধি:- যশোরের শার্শা থানার শিকারপুর থেকে বিজিবির বহুল আলোচিত ৭২ কেজি সাড়ে ৪শ’ গ্রাম স্বর্ণ আটকের মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও ২ জনের যাবজ্জীবন এবং ৪ জনের ১৪ বছর করে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।


বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর- ২০২৩), যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ আদেশ প্রদাণ করেন। 


যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্টপক্ষের অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান।


মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন তরফদারের ছেলে মহিউদ্দিন তরফদার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুজিবুর রহমান।


যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, শার্শার গোকর্ণ গ্রামের মাঝেরপাড়া গ্রামের আলী হোসেন সরদারের ছেলে মাসুদ রানা, ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মন্ডল ওরফে মেছের আলীর ছেলে (বর্তমানে যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের শফিকুল মন্ডল মোল্যা ওরফে লিদু)।


১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, শার্শার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আবুল মোড়লের ছেলে সফি, আব্দুল মোমিনের ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে কবির হোসেন।


মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে কয়েকজন চোরাচালানি শার্শার নারিকেলবাড়িয়া- সিকারপুর গ্রামের মাঠের মধ্য দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করেন বিজিবি সদস্যরা। 


এ সময় মহিউদ্দিনকে আটক করা হয় এবং দু’জন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। 


আটক মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ভারতে পাঁচারের উদ্দেশ্যে নেওয়া ২২৪ পিস সোনার বার ও পলাতকদের ফেলে যাওয়া দুটি ব্যাগ থেকে ৪শ’ পিসসহ মোট ৬২৪ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪'শ গ্রাম। মূল্য ৩১ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।


এ ঘটনার পরদিন বিজিবির সিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে  শার্শা থানায় মামলা করেন।


এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা সিআইডি পুলিশের এসআই কোরবান আলী সরকার। 


সর্বশেষ বৃহস্পতিবার, মামলার রায় ঘোষণার দিনে ছয় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সাথে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।