lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
Last Updated 2023-11-15T11:01:45Z
জাতীয়

১৬ বছর পরেও স্বজন হারানোর বেদনায় আজও কাঁদে উপকূল বাসি

Advertisement


প্রতিনিধি বরগুনা:


১৫ নভেম্বর ২০০৭ এই অঞ্চলের প্রতিটা মানুষের কাছে একটি আতঙ্কের নাম সিডর। সেদিন শত শত মানুষ কে বন্যার পানিতে মৃত ভাসতে দেখা গেছে। অসংখ্য মানুষ আপনজন হারিয়েছেন। অসংখ্য ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়েছে। অনেক পরিবারকে সর্বশান্ত করেছে। মৃত ব্যক্তিদের দাফন করার মতো জায়গা ছিল না। সেদিন ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের গর্জনবুনিয়ায় গণ কবরে ১৯ টি কবরের ভিতর ২৯ জন কে দাফন করা হয়েছিল। 



১৫ নভেম্বর ২০০৭ সিডর দিবসটি উপলক্ষে ( ১৫ নভেম্বর) বুধবার সকাল ১০ টায় রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে স্মরণ করা না হলেও মিলাদ মাহফিল, দোয়া মোনাজাত কোরআনখানি ও নানাবিধ পারিবারিক আয়োজনে দিনটিকে স্মরণ করছে উপকূলীয় এলাকার স্বজনহারা শোকার্ত পরিবারগুলো। এছাড়াও বরগুনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বরগুনা জেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনপথ নলটোনায় সিডরে নিহতদের গণ-কবরে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে।



উপজেলার গর্জণবুনিয়া এলাকায় সিডরে নিহতের গণকবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়াও আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এরপর স্মরণসভা করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বরগুনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দিবসটি পালন করা হয়। 



এতে উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিক ইসলাম , সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম মিঞা, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সঞ্জীব দাস, চিত্তরঞ্জন শীল, জাকির হোসেন মিরাজ, মনির হোসেন কামাল,হাসান ঝন্টু, জাগোনারীর প্রধান নির্বাহী হোসনেয়ারা চম্পা, ও ১০ নং নলটন ইউনিয়নের সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।



২০০৭ সালের এই দিনে স্মরণকালের ভয়াবহ ঘূর্নিঝর সিডর আঘাত হানে উপকূলীয় এলাকায়। মাত্র আধাঘন্টার তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপকুল। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে চেনা জনপদ মুহুর্তেই পরিণত হয় অচেনা এক ধ্বংসস্তুপে। সরকারী হিসেব অনুযায়ী সিডরের তাণ্ডবে বরগুনায় ১ হাজার ৩৪৫ জন মানুষ নিহত হন। আর এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১শ’ ৫৬ জন। তবে বে-সরকারী হিসেবে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার।



তীব্র জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় জেলার ৬৮ হাজার ৩শ ৭৯টি ঘরবাড়ি। পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায় ৩৭ হাজার ৬৪ একর জমির ফসল। ভেসে যায় গবাদিপশু, বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অবকাঠামো। সিডরের সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলবাসীকে।



বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম  বলেন ১৫ নভেম্বর ২০০৭ এর সিডরে আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে যারা প্রাণ হারিয়েছে আমি তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, যারা এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করে আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় তাদের পাশে ছিলো এবং আগামীতেও থাকব।