lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
Last Updated 2023-12-08T12:04:52Z
আইন ও অপরাধ

গাইবান্ধায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ গ্রেফতার ৩৭

Advertisement


 

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা::

গাইবান্ধায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৩৭ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে র‍্যাব-১৩। 


৮ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে র‍্যাব-১৩ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহম্মেদ এর পক্ষে  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৩৭ জন পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। পরে তাঁদের কাছ থেকে ২৪টি মাস্টার কার্ড, ২০ টি ব্লুটুথ এবং ১৭ টি মোবাইল ফোন,  ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পসহ জব্দ করা হয়। 


উল্লেখ্য, র‍্যাব-১৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে একটি জালিয়াতি চক্র ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করে গাইবান্ধা জেলা শহরের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রাইমারি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে। অতঃপর সকাল ১০ ঘটিকা হতে ১১ ঘটিকা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে জালিয়াতি চক্রের মূলহোতা-৫ জন ও ৩২ জন পরীক্ষার্থী কে তাদের ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইল ফোন সহ পরীক্ষার হলরুম হতে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত পরীক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং মোবাইলের মাধ্যমে সুকৌশলে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল। মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগ বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪-১৮ লক্ষ টাকায় চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিল। সোহেল ডিভাইস সংগ্রহ ও বিতরণ করেন, নজরুল পরীক্ষার্থী সংগ্রহ করতেন এবং মারুফ ও মুন্না বাহির থেকে প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি চক্রের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত জালিয়াতি চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।