lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩
Last Updated 2023-12-11T14:50:46Z
ব্রেকিং নিউজ

সালথায় নির্বাচনী সহিংসতায় পুলিশসহ আহত-১৫

Advertisement


 

বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সহিংসতায় ৫ পুলিশসহ উভয় দলের মোট ১৫জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার যদুনন্দী বাজারে নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।



জানা যায়, বর্তমান সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পর তার কর্মী সমর্থকরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। অপর দিকে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এ্যাড: জামাল হোসেন মিয়া দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে কর্মী সমর্থক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহন করেন এরপর থেকেই ফরিদপুর-২ আসনের নির্বাচনের মাঠ সরগরম হয়।



এরই সূত্র ধরে সোমবার সকালে জামাল হোসেন মিয়ার সমর্থক জাহাঙ্গীর হোসেন কে মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১০জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতর আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে সালথা থানা পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়।



জামাল হোসেন মিয়ার সমর্থক স্থানীয় কাইয়ুম মোল্যা বলেন, বাটিকামারীর জাহাঙ্গীর সহ বেশ বেশ কিছু লোকজন গতকাল জামাল ভাইয়ের সমর্থনে নির্বাচন করবে বলে গতকাল জামাল ভাইয়ের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করে। এই কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুর রব মোল্যা ও সাজ্জাদ খোন্দকার রাতেই সকলের বাড়িতে বাড়িতে যায় এবং সবাইকে হুমকি ধামকি দেয়। এবং সকালে যদুনন্দী বাজারে আসলে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি আমি জানতে পেরে বিট অফিসার সহ সালথা থানা পুলিশকে জানাই। 


থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীর কে সকালে বাজারে আসতে বললে, সে বাজারে আসলে তাকে সাজ্জাদ ও আব্দুর রব মোল্যা ও তার ছেলেরা জাহাঙ্গীর কে মারধর করে, খবর পেয়ে আমরা এগিয়ে গেলে আমাদের উপরেও হামলা করে। পুলিশ এসে আমাদের সেভ করলে আমরা চলে যাই। এরপর আব্দুর রব মোল্যা ও সাজ্জাদ খন্দকার যাকে একা পেয়েছে তাকেই মেরেছে। তাদের হামলায় প্রায় ১০জন আহত হয়েছে।


এই বিষয়ে জানতে সাজ্জাদ খন্দকার কে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। আব্দুর রব মোল্যা বলেন, আমি বাজার থেকে আসা মাত্রই ফোনে জানতে পারলাম সাজ্জাদকে মারধর করা হয়েছে। আমি তখনই বাজারে গেলে পুলিশ আমাদের সরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় আমার একজন কর্মী আহত হযেছে তার অবস্থা গুরুতর। এই বিষয়ে ঐ দুই সংসদ সদস্য প্রার্থীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।



সালথা থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের ১৭ রাউন্ড লেডবল ও ৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ৮টি ঢাল, বাঁশের লাঠি ও কিছু ইটের টুকরা উদ্ধার করে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ৫ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নিয়োজিত আছে। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।