Advertisement
আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা:
আজ ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩(পলাশবাড়ী- সাদুল্লাপুর)নির্বাচনি আসনে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসনিক সবধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটগ্রহণের সরঞ্জমাদিসহ অন্যান্য উপকরণ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ফোর্সসমূহ সকল ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলবে ভোটগ্রহণ। আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতালীগ,বিএনএম,এনপিপি ও স্বতন্ত্র সহ মোট ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচন কে ঘিরে স্থানীয় বিএনপি জামায়াত নেতাকর্মীরা নির্বাচন বানচালের তৎপরতা চলমান রেখেছে অপরদিকে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচন কে ঘিরে ভোট কেন্দ্রে যে কোন ধরণের ঘটনা প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে। এদিকে নির্বাচন সফল করতে নির্বাচন কমিশন ও আইন শৃংখলা বাহিনী কে সহযোগীতা করতে সকাল থেকে মাঠে থাকবে আওয়ামীলীগসহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকসহ সচেতন ভোটার সাধারণ।
প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামীলীগের এ্যাড.উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা),জাতীয় পার্টির ইঞ্জিনিয়ার মইনুর রাব্বি চৌধুরী রুমান(লাঙ্গল),জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি(মশাল),বাংলাদেশ কল্যাণপার্টির বীর মুক্তিযোদ্ধা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.)মাহমুদুল হক(হাতঘড়ি),কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অ্যাড.মোস্তফা মনিরুজ্জামান(গামছা),বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)প্রার্থী মঞ্জুরুল হক সাচ্চা(নোঙ্গর)এবং ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির(এনপিপি)প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম(আম),স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান সাহারিয়া খান বিপ্লব(ট্রাক),স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর অব. মফিজুল হক সরকার(ঈগল),স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জি: আবু জাফর তৈয়ব জাহিদ নিউ (কেঁতলী) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অবাধ-নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জেলা রিটার্নিং অফিস প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রিজাইডিং,সহ-প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার ছাড়াও সার্বিক নিরাপত্তাসহ আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে বিজিবি,র্যাব,পুলিশ, স্ট্রাইকিং ফোর্স,আনসার ব্যাটেলিয়ান,আনসার ভিডিপি সদস্য,গ্রাম পুলিশ মোতায়েনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাৎক্ষনিক আইনগত সহায়তা প্রদান ও ম্যাজিষ্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়াও নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য ,চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র সমূহে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত ফোর্স নিয়োজিত করার মাধ্যমে নির্বাচনে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের নিমিত্তে উভয় উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসারদ্বয় সংশ্লিষ্ট স্ব-স্ব ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সহ দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিকট ব্যালটসহ নির্বাচনের অন্যান্য সরঞ্জমাদি হন্তান্তর করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়,এ আসনে মোট ১৩৪টি ভোটকেন্দ্রের বিপরীতে ১৩৪ জন প্রিজাইডিং,সহকারী প্রিজাইডিং ১ হাজার ১৪ জন ও ২ হাজার ২৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৩৯ জন এবং মহিলা ২ লাখ ৪২ হাজার ৩০ জন। পলাশবাড়ী উপজেলায় ৮ ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় ভোট কেন্দ্র ৬৬টি।ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৯ হাজার ৮০৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭ হাজার ১৩৩ এবং মহিলা ১ লাখ ১২ হাজার ৬৭১ জন। সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১১ ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্র ৬৮টি। ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৫ হাজার ৭১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৫ হাজার ৭০৬ জন এবং মহিলা ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৫৯ জন।এ আসনের উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পাশাপাশি পরিমাণ সংখ্যক ম্যাজিজট্রেষ্ট, সেনাবাহিনী,বিজিপি,র্যাব,পুলিশ সদস্য ও আনসার ভিডিপি সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।