Advertisement
জহিরুল ইসলাম যশোর সংবাদদাতা
যশোরে আজ সোমবার এবছরের সর্বোচ্চ শীত পড়েছে। এদিন জেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ এই শীতেও যশোরের স্কুলগুলোয় যথারীতি ক্লাস চলেছে। নির্দেশনা রয়েছে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
এদিন ভোরে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় মোড়ানো ছিল শহর ও গ্রামাঞ্চলের পথঘাট। মূলত রবিবার রাত থেকেই বাড়তে থাকে কুয়াশার দাপট। এর সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলেছে, আজ সোমবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ফলে রাতে শীতের অনুভূতি বেশি হবে। এছাড়া এদিন মধ্যরাত থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। যে অঞ্চলে ঘন কুয়াশা থাকবে, সেখানে সূর্যের তাপ কমে শীতের অনুভূতি বেড়ে যাবে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
তীব্র শীতের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হলেও যশোরে কোথাও বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয় নাই রবিবার জয়পুরহাট জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। আজও এই জেলার বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান হবে না। জয়পুরহাটের মতোই রাজশাহী জেলার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ছিল।
এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এবারের শীতে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কনকনে এ শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়লেও জেলার স্কুলগুলো খোলা ছিল। যদিও শিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা রয়েছে কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে থাকলে সেখানকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অথচ যশোরে এ নির্দেশনা মানা হয়নি। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। যা নিয়ে অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।