Advertisement
সৈয়দ তারেক মো.আব্দুল্লাহ্ :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসন। এ আসনে প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেয়েছেন উপজেলাবাসী। এতে আনন্দে ভাসছেন তিন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।
বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পেয়েছেন ফরিদপুর-১ আসনের তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমান। রাতে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে দেওয়া প্রজ্ঞাপনে জানা যায় তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।
এদিকে ফরিদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রহমানকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে এমন খবরে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। এমন খবরে আনন্দে ভাসছে তিনটি উপজেলা ছাড়াও পুরো জেলাবাসী।
মো. আব্দুর রহমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহ মো. আবু জাফরকে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জানা যায়,দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে কোনো সংঘাত ছাড়াই ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮১ জনের মধ্যে মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৯৬টি কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩২জন ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এতে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ হাজার ভোট পেয়ে তৃতীয় বারের মত বেসরকারিভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান ৮৪ হাজার ৯৮৯ জন ভোট পেয়েছেন।
প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী এ আসনে ৪৯.৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন আরো ৩ প্রার্থী। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর পেয়েছেন ২২ হাজার ৪৬৫ ভোট, জাতীয় পার্টির আক্তারুজ্জামান লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৯ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. নুর ইসলাম শিকদার একতারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯ ভোট।
প্রসঙ্গত, মো. আব্দুর রহমান ১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্বে রয়েছেন।