lisensi

Advertisement

Picsart-23-09-20-19-46-51-668
বাংলাদেশ প্রকাশ
মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৪
Last Updated 2024-01-09T14:24:30Z
জাতীয় নির্বাচন

ফরিদপুর-২ আসনে ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

Advertisement


বিধান মন্ডল (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা সালথা) আসনের কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করছে ঈগল পাখি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর সদরের ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।



এসময় লিখিত বক্তব্যে বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেন, আমার প্রতীক  ঈগল গত রবিবার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে। আমার নির্বাচনী এলাকার মোট ১১৫ কেন্দ্রের মধ্যে গট্টি ইউনিয়ন, যদুনন্দী ইউনিয়ন, রামনগর ইউনিয়ন, কাইচাইল ইউনিয়নের ভোট জোর করে নৌকা প্রতীকের টেবিলের উপরে নিয়ে নেয়, কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট প্রকাশ্য ও নৌকার সন্ত্রাসী সমর্থকরা কেটে নেয় তার মধ্যে বাবুর কাইচাইল কেন্দ্র, বালিয়াগট্টি কেন্দ্র, জয়ঝাপ কেন্দ্র, বড়খাদিয়া কেন্দ্র, সুতারকান্দা কেন্দ্র, পোড়াদিয়া কেন্দ্র,  কৃষ্ণাডাঙ্গি  কেন্দ্র আরো কয়েকটি কেন্দ্রের ভোট নৌকা প্রতীকে জোর করে কেটে নেয়। অধিকাংশ প্রিজাইডিং অফিসার ২০০/ ৩০০ ভোট কেটে নৌকার সিল মেরে ব্যালট আগেই রেখে দিয়েছিলেন এবং আমার ঈগলের ভোটারদের উপর নৌকা লিখে বান্ডিল করেছেন। আমার চোখের সামনে ভোট কেটে নিয়েছে। প্রকাশ্য নৌকায় সিল মেরেছে অনাবরত জাল ভোট দিয়েছে।



আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে বারবার বলা সত্বেও কোন পদক্ষেপ নেন নাই, তারা বলেন ভিতরে কি হলো আমাদের সেটা দেখার বিষয় না। প্রিজাইডিং অফিসার কে কমপ্লেন করতে হবে। আমি বললাম  প্রিজাইডিং অফিসার নিজেই জড়িত তারপরও কোন পদক্ষেপ নেন নাই আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বারবার ভোট বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সহকারী রিটানিং অফিসার কে দিয়েছি কোন কাজ হয় নাই। ভোট গ্রহনে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিং অফিসারকে মারধর করেছেন আমার পুলিং এজেন্ট এর মারধর করে  কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন, প্রায় ২০টি কেন্দ্র থেকে আমার পুলিং এজেন্ট বের করে দিয়েছেন। প্রহসনের নির্বাচন, কারচুপির নির্বাচন ও ব্যালট ছিনতাই এর নির্বাচন নগরকান্দা ও সালথা বাসী, প্রত্যাখান করেছেন, এই ফলাফল আমরা মানিনা, মানবোনা। আমার ঈগলের অনেক ভোট নষ্ট দেখানো হয়েছে। আমি ভোটে জিতেছি আমাকে জোর পূর্বক ১৯০০ ভোটে পরাজয় দেখানো হয়েছে।



তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের একদিন যেতে না যেতেই নগরকান্দা ও সালথায় আমার সমর্থকদের প্রায় ২০০ বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে, আমার নেতাকর্মীর উপরে নির্মম ও নির্যাতন হামলা চালানো হচ্ছে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, এ সেই সাথে দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ জানাই, এবং যে সকল কেন্দ্রে অনিয়ম চুরি ব্যালট ছিনতাই জাল ভোট প্রদান প্রকাশ্য নৌকা প্রতীকের সিলমারা, মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীদের ভোট কাস্ট করা হয়েছে। সেইসব কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুর্ণ নির্বাচন দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাই। পরিশেষে যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে এবং উপরে উল্লেখিত কেন্দ্রগুলো পূর্ণনির্বাচন দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশায় আশ্বাস্ত জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান।



এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, মোঃ আনোয়ার হোসেন মিয়া, নগরকান্দা পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান মিঠু, নগরকান্দা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের আলম জ্যাক প্রমূখ। এছাড়াও ফরিদপুর প্রেসক্লাব ও স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার কয়েকশত নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।