Advertisement
ছবি : বাংলাদেশ প্রকাশ |
বরগুনা প্রতিনিধি :
তিন বছর পূর্বে দরপত্র হলেও দৃশ্যমান হয়নি সেতু। বরগুনা জেলার আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের আড়পাঙ্গাশিয়া খালের ওপর ৬০ মিটার সেতু তিন বছরেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় বিপদে পড়েছে এলাকার সাধারন জনগণ। নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ না হওয়া ও দীর্ঘদিন ধরে খালের গতিপথ বন্ধ করে পাইলিংয়ের গাছ পুঁতে রাখায় দুর্ভোগে পড়েছে ছোট-বড় নৌ চলাচল।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২ মিটার প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণের জন্য পাঁচ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহবান করে এলজিইডি। কাজটি পায় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিএনএএসআই জেভি নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় কাজটি বিক্রি করে বরগুনা জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ঠিকাদার মো. ছগির হোসেনের কাছে।
সরেজমি ঘুরে দেখা যায়, খালের উত্তর পারে একটি পিলার অর্ধেক ঢালাই দেওয়ার পর আর কোনো কাজ করা হয়নি। ঢালাইয়ের ওপরের অংশে লোহার রড মরিচা ধরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া,খালের গতিপথ বন্ধ করে সেতু নির্মাণের জন্য পাইলিংয়ের গাছ পুঁতে রাখায় দুর্ভোগে পড়েছে নৌচলাচল। নির্মাণকাজ শেষ না করে এভাবে ফেলে রাখায় প্রতিদিন অসংখ্য বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ অবস্থায় সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা ডা. লুৎফর, সোহেল, আরিফের সঙ্গে। তাদের ভাষ্য, ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামতো কাজ করছেন। একটি পিলারের সামান্য ঢালাই এবং খালে খুঁটি পোতার পর প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছেন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কাজ শুরু করলেও দু-চার দিন কাজ করে পালিয়ে যায় নির্মাণ শ্রমিকরা। এভাবে কাজ ফেলে রাখায় সেতু নির্মাণের কাজ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আমরা চাই দ্রুত সেতুটি নির্মাণ করা হোক।
ঠিকাদার ছগির হোসেন বলেন, আমি সাত মাস পূর্বে কাজ ক্রয় করে তা বুঝে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা গুছিয়ে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বরগুনা জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জি বলেন, যখন দরপত্র হয়েছে তখন করোনা মহামারী চলমান ছিল। এরপরে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খুঁটি স্থানান্তর, নকশা ও অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন সহ বেশ কিছু জটিল বিষয় সামনে আসায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। বর্তমানে কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমান অর্থবছরের মধ্যে কাজ প্রায় শেষ হবে বলে জানান তিনি।